মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশটি প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বিদেশি রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ২ বিলিয়ন রিংগিত রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। এই রোগীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, চীন, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের নাগরিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

Association of Private Hospitals Malaysia-এর সভাপতি ডা. কুলজিত সিংহ জানান, মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা খরচ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ২০% থেকে ৫০% কম এবং পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এটি আরো সাশ্রয়ী। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের জন্য সাশ্রয় ৭০% পর্যন্ত হতে পারে।

যে কারণে মালয়েশিয়ার চিকিৎসা পর্যটন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে 

- সাশ্রয়ী চিকিৎসা খরচ: উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা তুলনামূলকভাবে কম খরচে পাওয়া যায়।

- উন্নত স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসকগণ সেবা প্রদান করেন।

- ভাষাগত সুবিধা: ইংরেজি ভাষার ব্যাপক ব্যবহার রোগীদের যোগাযোগে সুবিধা প্রদান করে।

- সাংস্কৃতিক সামঞ্জস্য: মুসলিম রোগীদের জন্য হালাল-সুবিধাসম্পন্ন সেবা ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়।

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ

বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পর্যটনে সহায়তা করতে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য পর্যটন কাউন্সিল (MHTC) বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া, চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান এবং জরুরি অবস্থায় সহায়তা।

মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় চিকিৎসা গন্তব্যসমূহ

পেনাং: উন্নতমানের হাসপাতাল ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা খরচের জন্য পরিচিত।

কুয়ালালামপুর: বিশ্বখ্যাত হাসপাতাল যেমন Gleneagles ও Sunway Medical Centre এখানে অবস্থিত।

মোটকথা, মালয়েশিয়া উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী খরচ এবং সহজলভ্যতার কারণে চিকিৎসা পর্যটনের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশি রোগীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি স্টার