
সৌদি আরব এখন আর শুধু হজ ও ওমরাহর গন্তব্য নয়, দেশটি ধীরে ধীরে বিলাসবহুল পর্যটনের নতুন ঠিকানায় পরিণত হচ্ছে। রিয়াদ ও জেদ্দা; এই দুই শহরকে ঘিরে সৌদি সরকার গড়ে তুলছে এক রাজকীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, যেখানে ঐতিহ্য, আধুনিকতা ও আরবীয় আতিথেয়তার অপূর্ব মিশ্রণ দেখা যায়।
লাক্সারি লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন সম্প্রতি এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী রিয়াদ এখন এক আধুনিক শহরের প্রতীক। এখানে রয়েছে আকাশচুম্বী টাওয়ার, বিলাসবহুল হোটেল, আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল ও রেস্তোরাঁ। কিংডম সেন্টার টাওয়ার থেকে শহরের দৃশ্য দেখা যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনি আল মাসমাক দুর্গে গিয়ে সৌদি আরবের ইতিহাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়। রিয়াদে আপনি পাবেন বিশ্বমানের স্পা, গলফ কোর্স ও গুরমে খাবারের অভিজ্ঞতা।
লাল সাগরের তীরে অবস্থিত জেদ্দা সৌদি আরবের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। এখানকার পুরনো শহর ‘আল বালাদ’ ইউনেস্কো স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী এলাকা, যেখানে শত বছরের পুরনো বাড়ি, সরু গলি ও ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। অন্যদিকে, জেদ্দার সমুদ্রপাড়ে রয়েছে বিলাসবহুল রিসোর্ট, ইয়ট ক্লাব ও আধুনিক আর্ট গ্যালারি। সূর্যাস্তের সময় কর্নিশ ধরে হাঁটলে মনে হবে আপনি যেন এক আরবীয় রূপকথায় হাঁটছেন।
সৌদি সরকারের ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটি পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য সহজ ভিসা ব্যবস্থা, নতুন নতুন হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণ এবং সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে সৌদি আরব এখন বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে।
একসাথে রিয়াদ ও জেদ্দা ভ্রমণ মানে হলো একদিকে আধুনিক শহুরে বিলাসিতা, অন্যদিকে ঐতিহ্য ও প্রকৃতির ছোঁয়া। যারা ভিন্নধর্মী ও রাজকীয় ভ্রমণের স্বাদ নিতে চান, তাদের জন্য এই ‘টুইন সিটি ট্রিপ’ হতে পারে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।