Logo
×

Follow Us

এশিয়া

২০২৬ সালে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা ভ্রমণের জোয়ার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৭

২০২৬ সালে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা ভ্রমণের জোয়ার

মালয়েশিয়া ২০২৬ সালকে ঘোষণা করেছে ‘মালয়েশিয়া ইয়ার অব মেডিকেল ট্যুরিজম’ (MYMT 2026)। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু পর্যটন নয়, বরং দেশটিকে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। “Healing Meets Hospitality” এই স্লোগান নিয়ে মালয়েশিয়া এখন স্বাস্থ্যসেবা ও আতিথেয়তার এক অনন্য মিশ্রণ উপস্থাপন করছে। ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

মালয়েশিয়া হেলথ ট্রাভেল কাউন্সিল (MHTC) বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে মেডিকেল ট্যুরিজম থেকে ১২ বিলিয়ন রিংগিত আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশজুড়ে আধুনিক হাসপাতাল, দক্ষ চিকিৎসক, উন্নত প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিশেষ করে কুয়ালালামপুর, পেনাং ও মালাক্কা শহরগুলোতে চিকিৎসা পর্যটনের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বিদেশি রোগীরা এখানে শুধু উন্নত চিকিৎসাই পাচ্ছেন না, বরং তুলনামূলকভাবে কম খরচে বিশ্বমানের সেবা উপভোগ করছেন। মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে ইংরেজিভাষী চিকিৎসক, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা হয়, যা বিদেশি রোগীদের আস্থা অর্জন করেছে।

এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে মালয়েশিয়ার কৌশলগত বিনিয়োগ, সরকারি সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব। দেশটি শুধু চিকিৎসা নয়, বরং রোগীর পরিবারের জন্যও পর্যটন, হোটেল, খাবার ও ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করছে, যাতে পুরো অভিজ্ঞতা হয় আরামদায়ক ও স্মরণীয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মালয়েশিয়ার এই পদক্ষেপ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্বাস্থ্যসেবার মান ও প্রতিযোগিতা বাড়াবে। এতে করে শুধু দেশীয় অর্থনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবার মানও উন্নত হবে।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে রোগীরা এখন মালয়েশিয়ায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। কারণ, এখানে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ, চিকিৎসা খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং সেবার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের।

মালয়েশিয়ার এই চিকিৎসা পর্যটন উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং মানবিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে, স্বাস্থ্যসেবা আর বিলাসিতা নয়, এটি হতে পারে একটি দেশের গর্ব, আস্থা এবং বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রতীক।

Logo