
হংকং সরকার ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য আগমন ও প্রস্থান কার্ড পূরণের বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল ট্রাভেল অথরাইজেশন ব্যবস্থার বিপরীতে একটি ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ, যা ভ্রমণকারীদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ ও দ্রুততর করে তুলবে।
হংকং ইমিগ্রেশন বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, এখন থেকে আগমন বা প্রস্থান কার্ড পূরণ ছাড়াই যাত্রীরা ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে পারবেন। আগে এই কার্ডে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণ পরিকল্পনা ইত্যাদি তথ্য দিতে হতো। নতুন নিয়মে এই কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।
যদিও অনেক যাত্রী আগেই ই-চ্যানেল ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় গেট ব্যবহার করে থাকেন, এবার তা আরো সহজ হলো। ই-চ্যানেল রেজিস্ট্রেশন থাকলে যাত্রীরা বিমানবন্দর বা স্থল সীমান্ত দিয়ে দ্রুত প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারবেন। বিশেষ করে স্থল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকারীদের জন্য এটি সময় সাশ্রয়ী হবে।
এই পদক্ষেপটি এমন সময় নেওয়া হলো, যখন বিশ্বের অনেক দেশ ডিজিটাল ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) বাধ্যতামূলক করছে। যেমন- যুক্তরাজ্য ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ETA চালু করতে যাচ্ছে, যার জন্য ১০ ব্রিটিশ ডলার ফি দিতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই বছর ETIAS চালু করবে। থাইল্যান্ড ও জাপানও ETA ও JETSA নামক ডিজিটাল অনুমোদন ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়াও ডিজিটাল অভিবাসন ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। তারা ‘Australia Travel Declaration’ (ATD) নামক একটি ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করছে, যা প্রথমে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ফ্লাইটে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে এবং পরে সব যাত্রীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
হংকংয়ের এই সিদ্ধান্ত ভ্রমণকারীদের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা। কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত প্রবেশের সুযোগ তৈরি হওয়ায় শহরটি আরো আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক সফর, ট্রানজিট বা সংক্ষিপ্ত ভ্রমণে আসেন, তাদের জন্য এটি সময় ও জটিলতা কমাবে।
তথ্যসূত্র: Hong Kong Immigration Department