Logo
×

Follow Us

মধ্যপ্রাচ্য

সৌদি আরবে নভেম্বরে জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬

সৌদি আরবে নভেম্বরে জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মী যাওয়ার হার ২৮ শতাংশ বেড়েছে। মূলত সৌদি আরবের শ্রমবাজারে দক্ষতার মানদণ্ড পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আবেদন জট কমে আসায় এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ হার ৩ শতাংশ কম।  

বিএমইটির তথ্য বলছে, নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ হাজার ৮৭৪ জন কর্মী বিদেশে গেছেন, যেখানে অক্টোবরে সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ২৭ জন। এর মধ্যে সৌদি আরবে গেছেন ৬৪ হাজার ৬০৫ জন কর্মী, যা অক্টোবরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। ফলে কর্মী নিয়োগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দেশটি।  

জনশক্তি রপ্তানিকারকরা জানান, সৌদি আরবের স্কিল ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম (এসভিপি), যা ‘তাকামুল’ নামে পরিচিত, এর কারণে বছরের শুরুতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। স্বল্প-দক্ষ কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক দক্ষতার সনদ প্রবর্তনের ফলে আবেদন আটকে যায়। তবে বিএমইটি পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানোয় ধীরে ধীরে জট খুলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অনুরোধে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মতো কিছু পদের জন্য শর্ত সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে।  

আন-অফিসিয়াল হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরবে ৩২ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। তাদের বড় অংশই স্বল্প-দক্ষ পেশায় নিয়োজিত, যেমন পরিচ্ছন্নতা, নির্মাণকাজ ও গৃহস্থালি। এসব কর্মীর গড় মাসিক আয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে বিএমইটি পরিচালিত প্রায় ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, এর মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রে ৭৩টি ট্রেডে এসভিপি পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন আছে। সেপ্টেম্বরে প্রায় ৫২ হাজার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।  

অন্যদিকে কাতার, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ ও কুয়েতে নভেম্বরে কর্মী নিয়োগের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৯৬ থেকে ৯ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে। মালয়েশিয়া, ওমান ও বাহরাইনে নিয়োগ কার্যত বন্ধ রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল ও ইতালি ৭০০ এর বেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।  

রেমিট্যান্স প্রবাহেও বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। নভেম্বরে প্রবাসীরা ২.৮৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের ২.২০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৩১.৩৭ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে আসা ২.৫৬ বিলিয়ন ডলারের পর নভেম্বরে চলতি বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স রেকর্ড হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমা এবং ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়ার ফলেই রেমিট্যান্স বেড়েছে।

Logo