এইচ-১বি ভিসা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ছুটছে পেশাজীবীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৮

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির স্বপ্ন পূরণে বহুল পরিচিত এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এই ভিসার আবেদন ফি ৫ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। বিশাল এই ব্যয় দেখে অনেকেই মনে করছেন, এটি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ করার ইঙ্গিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আগ্রহী তরুণদের জন্য বড় ধাক্কা। তবে একই সঙ্গে এটি কানাডার জন্য একটি নতুন সুযোগও তৈরি করেছে। অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে কানাডাকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন অনেক দক্ষ পেশাজীবী। কানাডা ইতোমধ্যে অভিবাসনবান্ধব নীতিমালার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কর্মীদের আকৃষ্ট করছে।
তবে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন অনেকে। তারা বলছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে কানাডাকে টার্গেট করছেন, তাদের কানাডার নিজস্ব অভিবাসন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি, প্রভিন্সিয়াল নমিনেশন প্রোগ্রাম (PNP) এবং জব অফার ভিত্তিক ভিসা ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট যোগ্যতা, ভাষা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়। এছাড়া আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সময়সাপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসা নীতির কঠোরতা কানাডার প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও গবেষণা খাতে আন্তর্জাতিক কর্মীদের প্রবেশের পথ আরো প্রশস্ত করতে পারে। কানাডার সরকার যদি এই সুযোগকে কৌশলগতভাবে কাজে লাগায়, তাহলে দেশটি বৈশ্বিক প্রতিভা আকর্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষ তরুণদের জন্য কানাডা হতে পারে নতুন আশার আলো, তবে প্রয়োজন বাস্তবতা অনুধাবন করে পরিকল্পিত প্রস্তুতি। অভিবাসন নীতির পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের গতিপথ বদলে দিতে পারে- এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড