আগামী ২০ বছরে পেশায় পরিবর্তন আসবে অস্ট্রেলিয়ায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৭

অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবনের ধরন দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি ও দীর্ঘ কর্মজীবনের কারণে এখন আর “একটি চাকরি সারা জীবনের জন্য” ধারণা বাস্তব নয়। প্রোডাক্টিভিটি কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই দশকে একজন সাধারণ কর্মী অন্তত দুইবার পেশা পরিবর্তন করবেন। তাই এখনই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
স্কুল থেকেই শুরু হোক প্রস্তুতি:
পেশা বদলের জন্য দরকার মৌলিক দক্ষতা। যেমন পড়া, গণিত ও ডিজিটাল জ্ঞান। এসব শেখানো হয় স্কুলে। কিন্তু NAPLAN পরীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী এখনো পিছিয়ে আছে। তাই শিক্ষকদের সহায়তায় একটি অনলাইন পাঠ পরিকল্পনার ভাণ্ডার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে সব স্তরের শিক্ষার্থী উপকৃত হয়।
AI ও EdTech-এর ব্যবহার:
Generative AI প্রযুক্তি পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। জাতীয়ভাবে EdTech ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে AI টুল সরবরাহের প্রস্তাব এসেছে, যাতে সব স্কুল উপকৃত হয়।
মধ্য বয়সে নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ:
প্রতিবেদন বলছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৬৬% চাকরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা থেকে আসে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কম প্রশিক্ষণ পান। তাই কর ছাড়ের মতো আর্থিক সুবিধা দিয়ে প্রশিক্ষণ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি দিতে একটি স্বাধীন মূল্যায়ন ব্যবস্থা ও পাবলিক রেজিস্টার তৈরির প্রস্তাব এসেছে।
নতুন পেশায় প্রবেশ সহজ করা দরকার:
অনেক পেশায় অতিরিক্ত লাইসেন্স ও নিয়ম রয়েছে, যা কর্মীদের বাধা দেয়। Hairdresser, Painter, Mechanic-এর মতো পেশায় এসব নিয়ম মানের উন্নয়ন না করেই জটিলতা তৈরি করছে। তাই পরিপক্ব শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ বা বিকল্প মডেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন বলছে, অস্ট্রেলিয়ার কর্মীরা ভবিষ্যতে বারবার পেশা বদল করবেন, তাই এখনই তাদের প্রস্তুত করতে হবে। দক্ষতা, নমনীয়তা ও সহায়তা থাকলে কর্মজীবনের পরিবর্তন হবে সহজ ও ফলপ্রসূ।
তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন-এর প্রতিবেদন