
উন্নত বিশ্বে কেয়ারগিভার পেশা এখন সম্মানজনক ও চাহিদাসম্পন্ন একটি পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এই পেশায় দেশ-বিদেশে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র।
কেয়ারগিভারের কাজ মূলত শিশু, বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে- ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ানো, জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়া, ব্লাড প্রেসার, পালস, জ্বর, শ্বাস-প্রশ্বাস মনিটরিং, পুষ্টিকর খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশন, প্রাথমিক চিকিৎসা, ইনসুলিন ও অক্সিজেন দেওয়া, ফিজিওথেরাপি, সাইকোথেরাপি এবং হুইলচেয়ার ব্যবস্থাপনা।
সিটিজেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এম ফারুক হোসেন জানান, ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ চাইলে নিজেই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র খুলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারেন।
বিদেশে চাকরির সুযোগ রয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, হংকং, মালয়েশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে মাসিক আয় তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এমনকি স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও পাওয়া যায়।
কেয়ারগিভারস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ও সিআইবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মো. রাশীদুল ইসলাম বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় শ্রমবাজার গড়ে উঠেছে। বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলায় গড়ে উঠছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সেবা প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভারদের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম, বৃদ্ধাশ্রম, পুনর্বাসনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেয়ারগিভারদের চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি সচ্ছল পরিবারগুলোতেও ব্যক্তিগতভাবে কেয়ারগিভার নিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ