
গৃহকর্মী হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একটি বাসস্থানের মধ্যে কাজ করেন এবং একজন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালির পরিষেবা প্রদান করেন। যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং গৃহস্থালির রক্ষণাবেক্ষণ, রান্না, কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করা, অথবা শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেওয়া এবং অন্যান্য গৃহস্থালির কাজ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই গৃহকর্মী হিসেবে কাজের সুযোগ আছে বাংলাদেশিদের। একজন প্রশিক্ষিত গৃহকর্মীর অন্য অদক্ষ গৃহকর্মী থেকে ক্ষেত্রবিশেষে বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ আছে। তাই পেশা যাই হোক, দক্ষ অভিবাসনের বিকল্প নেই। একজন দক্ষ গৃহকর্মী যেমন একদিকে বেশি অর্থ উপার্জন করে, তেমনি নিজের অধিকার আদায়েও সচেতন হয়।
যে কোনো কাজই পদ্ধতিগতভাবে পরিচালনা করলে ভালো ও কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়। তাই একজন গৃহপরিচারিকার গৃহস্থালি কাজ সম্পাদন করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত। সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব সম্পাদন করার নিমিত্তে নিম্নোক্ত নীতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে-
গৃহকর্ত্রীর উপদেশ অনুযায়ী কাজের তালিকা চূড়ান্তকরণ
- যেসব কাজ বেশি প্রাধান্য পায়, সেগুলোর গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। যেমন- অফিসযাত্রী, স্কুলযাত্রী, শিশুদের যত্ন নেয়া ইত্যাদি।
- একই প্রকৃতির কাজগুলো আলাদা করে গুচ্ছ করা।
- ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করা।
- দায়িত্বশীলভাবে কাজ সম্পাদন করা। কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী কর্ম তালিকা পরিবর্তন করা।
- দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক জরুরি কাজগুলোর ভিন্ন ভিন্ন কর্ম তালিকা তৈরি করা।
- বিশ্রাম ও অবসরের জন্য সময় বের করা।
- বিশেষ অনুষ্ঠান, যেমন- ভোজসভার প্রস্তুতি যথাসময়ের আগে সম্পাদন।
দৈনিক কাজগুলো
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা।
- কক্ষগুলো পরিস্কার করা।
- শয়ন কক্ষ, খাওয়ার কক্ষ, বসার কক্ষ সাজানো-গোছানো।
- সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের আয়োজন করা।
- ব্যবহারের জিনিসপত্র পরিষ্কার করা।
- পোশাক-পরিচ্ছদ ধৌত করা।
- শিশুদের যত্ন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ-কোরিয়া ট্রেনিং সেন্টার