জার্মানিতে বর্তমানে চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক খাতে। দেশটির সরকারি পোর্টাল ‘মেক ইট ইন জার্মানি’-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই খাতে চাকরির সংখ্যা ১১ হাজারেরও বেশি। নার্সিং, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট এবং সামাজিক সেবামূলক পেশায় বিপুলসংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে।  

তথ্যে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে ১১ হাজার ৬২টি চাকরি খালি রয়েছে। এর বাইরে উৎপাদন ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে রয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৪৫২টি চাকরি। নির্মাণ, স্থাপত্য ও টেকনিক্যাল বিল্ডিং সার্ভিসে ২ হাজার ১০৭টি পদ খালি আছে। পরিবহন, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা খাতে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি চাকরি।  

ব্যবসা সংগঠন, হিসাবরক্ষণ, আইন ও প্রশাসন খাতে ১ হাজার ৮২৫টি চাকরি পাওয়া যাচ্ছে। বাণিজ্য, বিক্রয়, হোটেল ও পর্যটন খাতে রয়েছে ১ হাজার ৭৩৮টি পদ। এছাড়া প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, ভূগোল ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৯০৩টি চাকরি এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, মিডিয়া ও সংস্কৃতি খাতে ৪১৮টি চাকরি খালি রয়েছে। কৃষি ও বনজ খাতে চাকরির সংখ্যা তুলনামূলক কম, মাত্র ১৪৮টি।  

সব মিলিয়ে বর্তমানে জার্মানির চাকরির বাজারে মোট শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ৪৫৩। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক খাত। দেশটিতে জনসংখ্যার বার্ধক্য এবং স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এ খাতে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্মানিতে দক্ষ নার্স, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট এবং সামাজিক সেবাকর্মীর চাহিদা আগামী কয়েক বছর আরো বাড়বে। একই সঙ্গে উৎপাদন ও শিল্প খাতেও দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন রয়েছে। ফলে বিদেশি কর্মীদের জন্য জার্মানির চাকরির বাজারে সুযোগ তৈরি হচ্ছে।  

সব মিলিয়ে বলা যায়, জার্মানিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে। পাশাপাশি উৎপাদন, নির্মাণ ও লজিস্টিকস খাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চাকরি রয়েছে, যা দক্ষ কর্মীদের জন্য বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে।