প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০০

বিশ্বজুড়ে ক্যানসার শনাক্তকরণে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আবু আলী ইবনে সিনা। তার উদ্ভাবিত একটি ডিভাইস মাত্র ১০ মিনিটে ক্যানসার কোষ শনাক্ত করতে সক্ষম, যা খরচ কমাবে প্রায় ৮০ শতাংশ এবং কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
চাঁদপুরের বাবুরহাটে জন্ম নেওয়া ড. সিনা জানান, “এই পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ ও সুলভ। যে কোনো ক্লিনিকে এটি ব্যবহার করা যাবে।” ডিভাইসটিতে রং পরিবর্তনকারী এক ধরনের তরল ব্যবহার করা হয়, যা দেহে ক্যানসার কোষ থাকলে তা শনাক্ত করে রং পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ মিনিটের মধ্যে ফল জানিয়ে দেয়।
এই প্রযুক্তি ‘ডেভেলপমেন্ট অব পয়েন্ট অব কেয়ার টেকনোলজি ফর দ্য ডিটেকশন অব ক্যানসার বায়োমার্কস’ প্রকল্পের অংশ। ড. সিনা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে পড়াশোনা ও শিক্ষকতা শেষে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া অব নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র লেকচারার ও গবেষক হিসেবে কর্মরত। এখানেই তার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘সিনা ল্যাব’-এ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা তার নেতৃত্বে কাজ করছেন।
ডিভাইসটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ইতোমধ্যে সফল হয়েছে এবং বড় পরিসরে পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি বড় প্রতিষ্ঠান এর বাণিজ্যিকীকরণে আগ্রহী এবং কয়েক মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এটি বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. সিনা বলেন, “প্রারম্ভিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা সহজ হয় এবং রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ডিভাইসের সহজলভ্যতা ও দ্রুততা বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে।”
বিশ্বজুড়ে ক্যানসার শনাক্তকরণে সময় ও খরচের বড় বাধা ছিল। ড. আবু আলী ইবনে সিনার এই আবিষ্কার সেই বাধা ভেঙে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে। এটি শুধু চিকিৎসা নয়, মানবতার সেবায় বাংলাদেশের এক গর্বিত অবদান।
তথ্যসূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন