Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

জার্মানির ফ্রিল্যান্স ভিসার দারুণ অফার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৩

জার্মানির ফ্রিল্যান্স ভিসার দারুণ অফার

ইউরোপে পেশাগত ক্যারিয়ার গড়তে জার্মানির ফ্রিল্যান্স ভিসা একটি আকর্ষণীয় উপায়। এই জাতীয় দীর্ঘমেয়াদি (ডি টাইপ) ভিসা স্থানীয় কোম্পানিতে চাকরি ছাড়াই আবেদনকারীকে জার্মানিতে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ দেয়, যা ইউরোপের প্রচলিত সেনজেন ভিসার জটিলতা এড়িয়ে চলার সুযোগ তৈরি করে।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ভিসার আবেদন ফি ৭৫ ইউরো এবং অনুমোদনের পর এটি সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে। আবেদনকারীদের জার্মান ট্যাক্স অফিসে রেজিস্ট্রেশন করে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একটি ট্যাক্স নম্বর নিতে হয়, যা কর্মক্ষেত্রে বৈধভাবে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত।

ফ্রিল্যান্স ভিসার আওতায় মূলত দুই ধরনের পেশাজীবী আবেদন করতে পারেন: ‘ফ্রিল্যান্সার’ এবং ‘স্বনিয়োজিত/ব্যবসায়ী’। ফ্রিল্যান্স ক্যাটাগরির আওতায় শিক্ষক, সাংবাদিক, অনুবাদক, থেরাপিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ, স্থপতি, চিকিৎসক ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অন্তর্ভুক্ত। এদের আবেদনপত্রের সঙ্গে পেশাগত যোগ্যতার প্রমাণ, প্রয়োজনীয় লাইসেন্স (যদি প্রযোজ্য), এবং জার্মান ক্লায়েন্টদের আগ্রহপত্র সংযুক্ত করতে হয়।

অন্যদিকে, স্বনিয়োজিত বা ক্ষুদ্র ব্যবসার উদ্যোক্তারা ‘Gewerbetreibender’ হিসেবে আবেদন করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে একটি সুসংগঠিত ব্যবসা পরিকল্পনা, অর্থায়নের উৎসের প্রমাণ এবং জার্মান অর্থনীতিতে সম্ভাব্য অবদানের বিশ্লেষণ চাওয়া হয়।

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আবেদনকারীকে জাতীয় ভিসার ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, যেমন- পাসপোর্ট, ছবি, স্বাস্থ্যবীমা, আবাসনের প্রমাণ, ক্লায়েন্টদের আগ্রহপত্র এবং আয় পূর্বাভাস সংগ্রহ করতে হয়। এরপর স্থানীয় জার্মান দূতাবাস বা ভিএফএসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে বায়োমেট্রিকস প্রদান ও ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। সিদ্ধান্ত পেতে সাধারণত ৮-১২ সপ্তাহ সময় লাগে।

জার্মানিতে পৌঁছানোর পর আবেদনকারীকে ফ্রিল্যান্স কার্যক্রম রেজিস্টার করতে হয়, স্বাস্থ্যবীমা গ্রহণ ও ‘Anmeldung’ নামক আবাসন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়। এরপর তারা রেসিডেন্স পারমিটে রূপান্তর করতে পারেন।

আকর্ষণীয় বিষয় হলো, ভিসাধারীরা পরিবার পুনর্মিলন ভিসার মাধ্যমে তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে জার্মানিতে বসবাসের আবেদন করতে পারেন। তবে এ জন্য পর্যাপ্ত আয় এবং উপযুক্ত আবাসনের প্রমাণ থাকা আবশ্যক।

যদিও জার্মান ভাষা জানা আবশ্যিক নয়, তবে এ-ওয়ান লেভেলের মৌলিক ভাষাজ্ঞান থাকলে দৈনন্দিন কার্যক্রমে সুবিধা হয়, বিশেষ করে আবাসন রেজিস্ট্রেশন, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ এবং ট্যাক্স-সংক্রান্ত কাজে।

ফ্রিল্যান্স ভিসা বর্তমানে লেখক, আইটি পরামর্শক, শিক্ষক, শিল্পী, অনুবাদক ও অন্যান্য স্বাধীন পেশাজীবীদের জন্য ইউরোপে কর্মজীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস

Logo