Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

জার্মানির ভোকেশনাল ট্রেনিং ভিসা: যা জানতেই হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:১১

জার্মানির ভোকেশনাল ট্রেনিং ভিসা: যা জানতেই হবে

জার্মানিতে ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে দুই ধরনের ভিসার সুযোগ রয়েছে, যা বিদেশি শিক্ষার্থী ও অনভিজ্ঞদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি:

১. ভিসা ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং

এই ভিসাটি যারা ইতোমধ্যে ট্রেনিং কন্ট্রাক্ট পেয়েছেন, তাদের জন্য উপযুক্ত।

মূল শর্তগুলো হলো:

- একটি প্রতিষ্ঠিত ট্রেনিং স্থান (কোম্পানি বা স্কুলভিত্তিক) থাকা।

- জার্মান ভাষায় B1 স্তরের দক্ষতা থাকা আবশ্যক।

- আর্থিক প্রমাণ, যেমন সবচেয়ে কম 959 ইউরো/মাস (২০২৫ সালের মান অনুযায়ী) ব্লকড অ্যাকাউন্ট বা ঘোষিত আর্থিক দায়িত্ব।

- কোম্পানির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ভাতা পাওয়া যায়; যা 990 ইউরো অথবা তার বেশি হলে আর্থিক প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

- উল্লিখিত শর্ত পূরণে কনস্যুলেটে আবেদন করতে হয় এবং ভিসা পাওয়া গেলে স্থানীয় “residence permit”-এ বদলে নিতে হয়।

- ট্রেনিং চলাকালে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করার অনুমতি রয়েছে।

২. ভিসা ফর সিকিংয়ে ট্রেনিং প্লেস

যারা এখনো ট্রেনিং কন্ট্রাক্ট পাননি কিন্তু জার্মানিতে এসে খুঁজতে চান, তাদের জন্য এটি সেরা অপশন।

শর্তাবলি:

- স্কুল‑লিভিং সার্টিফিকেট (যা উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা দেয়) থাকা আবশ্যক।

- ভাষা দক্ষতা: B1 স্তর জার্মানিতে।

- বয়সসীমা: ৩৫ বছরের নিচে থাকা উচিত।

- আর্থিক সক্ষমতা: ১০৯১ ইউরো/মাস ব্লকড অ্যাকাউন্ট বা কমিটমেন্ট ডিক্লারেশন দ্বারা প্রমাণ করতে হবে।

- ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯ মাস, এই সময়ের মধ্যে ট্রেনিং প্লেস খুঁজে নিতে পারবেন।

- একইভাবে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ ও ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ট্রায়াল কাজ করার অনুমতি।

ট্রেনিং শেষে ভিসা এক্সটেনশন ও চাকরি সুবিধা

- প্রশিক্ষণ শেষ হলে job-seeking permit পাওয়া যায়। সাধারণ ট্রেনিংয়ের জন্য ১৮ মাস, আর স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসিস্ট্যান্টদের জন্য ১২ + ৬ মাস পর্যন্ত ।

- অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে permanent settlement permit (স্থায়ী বসবাসের অনুমতি) পেতে সম্ভব, যা দুই বছর চাকরির পর আবেদন করা যায়।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া: কীভাবে শুরু করবেন?

- প্রথমে নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে: ট্রেনিং কন্ট্রাক্ট, ভাষা সার্টিফিকেট, আর্থিক প্রমাণ ইত্যাদি।

- এরপর নিকটস্থ জার্মান কনস্যুলেটে National Visa-এর জন্য আবেদন করুন।

ভিসা পেয়ে জার্মানি পৌঁছে প্রবেশের পর, স্থানীয় Ausländerbehörde (বিদেশি অফিস) থেকে “residence permit” সংগ্রহ করতে হবে।

প্রত্যেক ভিসাই নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করে: ট্রেনিং প্লেস, ভাষা দক্ষতা, আর্থিক নিশ্চয়তা। ট্রেইনিং শেষে চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের পথও হয়ে ওঠে সোজা, যা জার্মান সরকারের Skill-driven অভিবাসনের অন্যতম অংশ।

তথ্যসূত্র: make-it-in-germany.com

Logo