বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই কাজের সুযোগ আজারবাইজানে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৩

আজারবাইজান সরকার তাদের অভিবাসন নীতিমালায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ফলে বিদেশি নাগরিকরা এখন নির্দিষ্ট শর্তে কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) ছাড়াই দেশে কাজ করতে পারবেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, "উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন" বিদেশি কর্মীরা, যারা বিশেষায়িত ক্ষেত্রের দক্ষতা প্রদর্শন করতে সক্ষম, তাদের কাজের অনুমতি ছাড়াই দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। আগে শুধু সরকারি বা জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার জন্য বিদেশিদের কাজের অনুমতি দেয়া হতো, তবে এখন এই সুযোগ আরো বিস্তৃত করা হয়েছে।
এই নিয়মের আওতায় যারা "উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন" হিসেবে পরিচিত, তাদের জন্য আজারবাইজানে কাজ করা সহজতর হয়ে যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। প্রথমত, আবেদনকারীদের তাদের উচ্চতর শিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে হবে। এছাড়া একটি পয়েন্টভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে। এর মানে হলো, কেবল যারা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের উচ্চতর যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন, তারাই এই সুবিধা পাবেন।
এছাড়া যেহেতু বিদেশি কর্মীরা এখন কাজের অনুমতি ছাড়াই আজারবাইজানে কাজ করতে পারবেন, তবুও তাদের একটি বসবাসের অনুমতি (Residence Permit) সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তারা বৈধভাবে দেশে থাকতে পারেন। কাজের অনুমতির প্রয়োজনীয়তা তুলে নেওয়া হলেও বসবাসের অনুমতি ছাড়াই দেশে থাকার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বসবাসের অনুমতি সংগ্রহের পর বিদেশি নাগরিকরা আজারবাইজানে পাঁচ বছর পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে এটি নবায়নযোগ্য হবে।
এই নতুন নিয়ম বিদেশি পেশাজীবীদের জন্য আজারবাইজানকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবে। বিশেষত, দেশে ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং অন্যান্য দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য এই সুযোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজারবাইজান তার অভিবাসন নীতি সহজতর করার মাধ্যমে বৈশ্বিক দক্ষ জনশক্তিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
দেশটির সরকারের আশা, এই নতুন নিয়মের ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিভাকে আরো সহজভাবে দেশে আনা সম্ভব হবে, যা আজারবাইজানের বিভিন্ন খাতকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর বিদেশি কর্মীদের জন্য আরো বেশি সুবিধা ও সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা আজারবাইজানকে একটি বৈশ্বিক কর্মক্ষমতা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল বিজ নিউজ পোর্টাল