সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত উসকে দেওয়া এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ছয়জনকে প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

সৌদি পাবলিক প্রসিকিউশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্তরা এমন কনটেন্ট প্রকাশ করেছেন, যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং জনমতকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এসব কনটেন্ট দেশের আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  

প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সৌদি আইন অনুযায়ী, জনমত উসকে দেওয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।  

সৌদি আরবের সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য আইন অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বা উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করলে জরিমানা ও কারাদণ্ড হতে পারে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এছাড়া জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে তা যাচাই করতে হবে। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালে তা আইনের আওতায় আসবে।  

সৌদি সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে জনমত প্রভাবিত করা, গুজব ছড়ানো বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।  

সব মিলিয়ে বলা যায়, সৌদি আরবে জনমত উসকে দেওয়া কনটেন্ট প্রকাশের অভিযোগে ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে দেশটি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় অনলাইন কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি করছে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।