সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন মামলায় আটক থাকা ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২৮ নভেম্বর এ পোস্ট করেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে অগ্রগতির জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বরত সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।  

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বন্দিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী। তারা নানা আইনি জটিলতায় পড়ে দীর্ঘদিন ধরে আটক ছিলেন। পরিবারগুলো উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছিল। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  

কূটনৈতিক পর্যায়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আমিরাত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আশাবাদী। ইতোমধ্যে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, যা মুক্তির পথকে আরো সহজ করেছে। দূতাবাস বলছে, মুক্তি পাওয়ার পর তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং পরিবারগুলোর সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটানো হবে।  

বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। এই ২৫ জনের মুক্তি হলে তা হবে একটি মানবিক সাফল্য। একই সঙ্গে এটি ভবিষ্যতে অন্য বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।  

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। মুক্তির খবর শুনে তারা স্বস্তি পেয়েছেন। অনেকেই আশা করছেন, প্রিয়জনরা দ্রুত দেশে ফিরবেন।  

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ শ্রমিকদের আস্থা বাড়াবে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা নানা সমস্যায় পড়েন। তাদের পাশে সরকার দাঁড়ালে তা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে।  

সব মিলিয়ে বলা যায়, আরব আমিরাতে আটক থাকা ২৫ জন বাংলাদেশির মুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সফল হলে তারা শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এতে পরিবারগুলো স্বস্তি পাবে এবং বাংলাদেশ সরকারের মানবিক উদ্যোগ প্রশংসিত হবে।