
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চালু করতে যাচ্ছে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা। অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোটার তালিকাভুক্ত প্রবাসীরা ডাকযোগে ব্যালট পেয়ে ভোট দিতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকবে ইসির এডহক কমিটি, যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, প্রবাসীদের কাছে যাবে ‘সিম্বল ব্যালট’; প্রার্থীর নাম ছাড়া প্রতীকসহ ব্যালট পেপার। অনলাইনে প্রার্থী তালিকা দেখে ভোটাররা পছন্দের প্রতীকে ভোট দেবেন। ব্যালট ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব থাকবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর।
তবে শেষ সময়ে আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ব্যক্তিদের প্রতীক ব্যালটে যোগ করা সম্ভব না হওয়ায় কিছু আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ইসি। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে তফসিল ঘোষণার আগেই, যাতে তিন সপ্তাহ সময় পাওয়া যায়। প্রবাসীদের পাশাপাশি সরকারি কর্মচারী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা বলছেন, এত অল্প সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি, প্রচারণা, ব্যালট আনা-নেওয়া, গণনা ও ফল প্রকাশ সব মিলিয়ে এটি একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগ। তবে সময়োপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এই পদক্ষেপ সফল হলে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে তা হবে একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি।
ইসির প্রাক্কলিত বাজেট অনুযায়ী, পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে। প্রতিটি ব্যালট আনা-নেওয়ায় গড়ে ৫০০ টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর