
রঙিন দ্বীপ, সোনালি সমুদ্রতট আর স্বপ্নের মতো রাতের আলো- থাইল্যান্ড ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে এই স্বপ্নের দেশে পা রাখতে হলে প্রয়োজন যথাযথ ভিসা আবেদন। থাইল্যান্ডের ভিসা পেতে আবেদনকারীদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হয়।
পাসপোর্ট: মূল পাসপোর্টের মেয়াদ যাত্রার তারিখের পর কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। ভিসা স্ট্যাম্পের জন্য অন্তত ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। পূর্বের সব পাসপোর্ট ও ভিসার কপি সংযুক্ত করতে হবে। যদি কোনো ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে থাকে, তার অফিসিয়াল চিঠির কপি দিতে হবে।
ভিসা আবেদন ফর্ম ও ছবি: পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরযুক্ত ভিসা ফর্ম জমা দিতে হবে। সঙ্গে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২টি সাম্প্রতিক (৩ মাসের মধ্যে) পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩৫×৪৫ মিমি) দিতে হবে।
কাভার লেটার ও আমন্ত্রণপত্র: ভ্রমণের উদ্দেশ্য, খরচ বহনের তথ্যসহ একটি কাভার লেটার দিতে হবে, যার ঠিকানাবার্তা হবে: ভিসা অফিসার, অ্যাম্বাসি অব থাইল্যান্ড, ঢাকা। ব্যবসায়িক বা কনফারেন্স ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রয়োজন।
ফরওয়ার্ডিং লেটার ও পেশাগত নথি: কোম্পানির লেটারহেডে আবেদনকারীর তথ্যসহ একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও ইংরেজি অনুবাদ, অফিস আইডি ও ভিজিটিং কার্ড প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিকোয়েস্ট লেটার বা আইডি কার্ড লাগবে।
আর্থিক প্রমাণ ও বুকিং: সর্বশেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সলভেন্সি সার্টিফিকেট, স্যালারি স্লিপ (যদি থাকে) জমা দিতে হবে। নিশ্চিতকৃত বিমান টিকিট ও হোটেল বুকিং কনফার্মেশনও আবশ্যক।
দূতাবাস উল্লেখ করেছে যে প্রয়োজনে আরো নথি চাওয়া হতে পারে এবং সব নথির ইংরেজি অনুবাদ নোটারি পাবলিক দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
তথ্যসূত্র: থাইল্যান্ড দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে