
২০২৫ সালের শুরুতেই মালয়েশিয়া পর্যটনের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য জনপ্রিয় গন্তব্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও দুবাইকে পেছনে ফেলে মালয়েশিয়া এখন পর্যটকদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসেই দেশটিতে ১০.১ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছেন, যা থাইল্যান্ডের ৯.৫৫ মিলিয়নের চেয়ে বেশি।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে মালয়েশিয়ার কৌশলগত পরিকল্পনা, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন। দেশটি শুধু পর্যটন নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। ২০২৫ সালের Baseline Profitability Index (BPI)-এ মালয়েশিয়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।
পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কারণগুলো:
- মালয়েশিয়ার সরকার ভিসা নীতিমালা সহজ করেছে, যার ফলে ভ্রমণ আরো সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
- দেশজ সংস্কৃতি, ঐতিহাসিক স্থাপনা, আধুনিক নগরায়ন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
- কুচিং ওয়াটারফ্রন্ট, বুকিত গাসিং ট্রেইল, লাংকাওয়ি দ্বীপ, পেনাং, কুয়ালালামপুরের স্কাইস্ক্র্যাপার ও খাবারের বৈচিত্র্য মালয়েশিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেয়।
মালয়েশিয়ার সরকার ২০২৫ সালের বাজেটে পর্যটন খাতে ৫৫০ মিলিয়ন রিংগিত বরাদ্দ দিয়েছে, যা Visit Malaysia Year 2026-এর প্রস্তুতির অংশ। উন্নত অবকাঠামো, স্মার্ট সিটি প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব দেশটিকে একটি টেকসই ও আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মালয়েশিয়ার এই উত্থান শুধু ভ্রমণ নয়, বরং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য মালয়েশিয়া একটি সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও মুসলিম-বন্ধুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড