
হোটেল ও গেস্ট হাউসের ব্যবসা কয়েক শতক ধরে বিদ্যমান। অন্যদিকে প্রথম মোটেল স্থাপনের ইতিহাস সে তুলনায় সাম্প্রতিক, ১০০ বছর আগের ঘটনা।
অনেকটা পথের ধারের সরাইখানার সঙ্গে তুলনীয় হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে মোটেলের জন্ম হয় ১৯২৫ সালে। ওই বছর স্থপতি আর্থার হেইনেম্যান ‘মোটর হোটেল’ ধারণাটি নিয়ে আসেন, যা সংক্ষেপে ‘মোটেল’ নামে পরিচিত হয়। আর হোটেল ও মোটেলের পার্থক্য এমন যে হোটেল বেশি বিলাসবহুল ও শহুরে পরিষেবায় পূর্ণ।
অন্যদিকে মোটেল বেশি সাদাসিধে এবং মূলত গাড়ি নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছেন এমন যাত্রীদের জন্য রাস্তার ধারে খোলা হয়। হেইনেম্যানের প্রবর্তিত ব্যবসার ধারণাটি ছিল সহজ কিন্তু কার্যকর।
গত শতকের বিশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি কেনা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছিল এবং সেই সঙ্গে রোড ট্রিপের চাহিদা বাড়তে থাকে। তাই তাদের রাতে থাকার জন্য এমন জায়গার দরকার ছিল, যা হাইওয়ের নিকটে এবং গাড়িও রাখা যাবে।
হেইনেম্যান কম খরচের ঘরের সঙ্গে ছোট গ্যারেজ যুক্ত করেছিলেন, যেখানে অতিথিরা নিরাপদে তাদের গাড়ি রাখতে পারতেন। এ জন্য প্রতি রাতে খরচ পড়ত মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্ট। মাইলস্টোন মো-টেলটির অবস্থান ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান লুইস ওবিস্পোয়।
গত বছর সিএনএন ট্রাভেল একে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা ভ্রমণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোর মাঝামাঝি এলাকায় এর অবস্থান। সে মোটেলের কক্ষে তখনকার হিসেবে হালনাগাদ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল। যেমন গরম পানির শাওয়ার ও ইনডোর কার্পেটিং।
একটি স্প্যানিশ মিশনের অনুপ্রেরণায় ভবনটির নকশা করা হয়েছিল। এর মূল নাম ছিল ‘মাইলস্টোন মোটেল’, পরে যা ‘মোটেল ইন’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৯১ সালে বিশ্বের প্রথম এ মোটেল বন্ধ হয়ে যায় এবং এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে আর্থার হেইনেম্যানের ধারণাটি শত বছর পরও টিকে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা