ড. রকিব চৌধুরীর সাক্ষাৎকার
পিএইচডি গবেষণার বিষয়বস্তু হতে হবে ফিউচার প্রুফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪

ড. রকিব চৌধুরী; ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশন, মনাশ ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৬ সালে তার শিক্ষকতার যাত্রা শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে। এরপর কেবল বাংলাদেশ নয়, শিক্ষকতা করেছেন ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ব্রুনাই ও সৌদি আরবে। বর্তমানে মেলবোর্নের মনাশে শিক্ষকতা করলেও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশের ২১ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তার সুপারভিশনে। ড. রকিব সিনিয়র ফেলো হিসেবেও আছেন যুক্তরাজ্যের হায়ার এডুকেশন একাডেমিতে। তিনি এডিটর ইন চিফ টেসল বাংলাদেশ জার্নালের। টেসল, ল্যাঙ্গুয়েজেস এডুকেশন, স্যোশিওলিঙ্গুইস্টিকস্, আইডেন্টিটি, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন, বাইলিঙ্গুয়ালিজম, হায়ার এডুকেশন পলিসি, কলোনিয়ালিটি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল থিউরিজ তার শিক্ষকতা ও গবেষণার বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা, কোন গ্রেডে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনায় আসা উচিত, স্কলারশিপ কীভাবে পাওয়া যায়, পিএইচডির প্রস্তুতি কেমন করে নিতে হবে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ আর সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন মাইগ্রেশন কনসার্নের সাথে। ড. রকিব চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহবুব স্মারক। আজ থাকছে শেষ পর্ব
মাইগ্রেশন কনসার্ন: স্যার পিএইচডি হায়ার এডুকেশনের সর্বোচ্চ লেবেল। আপনার অধীনে অনেক শিক্ষার্থী পিএইচডি করেন; দেশের শিক্ষার্থী এবং বিদেশি। সে ক্ষেত্রে কী ডেকোরাম ফলো করবে শিক্ষার্থীরা?
ড. রকিব চৌধুরী: সাধারণত দ্য ফার্স্ট পয়েন্ট অব কন্টাক্ট হচ্ছে যখন প্রোস্পেক্টিভ স্টুডেন্ট যে পিএইচডি করতে চায়, তারা হয়তো আমার কাছে বা আমার কলিগদের কাছে অ্যাপ্লাই করে। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগের বয়স বিটুইন ৩২-৩৫। ফোরটি প্লাসও হতে পারে। তারা অভিজ্ঞ এবং দে আর ম্যাচিউরড। তাদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকে। অনেকের দুটো মাস্টার্স ডিগ্রিও থাকে। সো প্রথম কন্টাক্ট হচ্ছে সুপারভাইজারকে ইমেইল করা। এই ইমেইল করার ক্ষেত্রে খুব ইম্পর্ট্যান্ট একটা ব্যাপার হচ্ছে যে ইমেইলটার সাথে দুটো জিনিস অবশ্যই পাঠাতে হবে। একটা হচ্ছে সিভি, আরেকটা হচ্ছে ছোট একটা রিসার্চ প্রপোজাল। মানে একটা গবেষণা প্রস্তাবনা অবশ্যই পাঠাতে হবে। আমি বলব যে, এই দুটো ছাড়া বা যে কোন একটা আছে কিন্তু আরেকটা নেই এমনটা হলে ইমেইলটা ইনকমপ্লিট এবং সেটা খুব ভালো দেখায় না। কারণ অনেক স্টুডেন্ট কিন্তু ওরা জাস্ট বলে যে এটা আমার সিভি আমি পিএইচডি করতে চাই। আমি চাই আপনি আমার সুপারভাইজার হন। সো আমার স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন হবে যে, ওকে তোমার সিভি এটা কিন্তু তুমি কিসের উপর পিএইচডি করতে চাও তোমার তো কোনো টপিক নেই, কিছু নেই। তোমার তো কোনো প্রস্তাবনা নেই।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: তো সে ক্ষেত্রে কোন ডেকোরামটা ফলো করা দরকার বা আপনারা যা এক্সপেক্ট করেন? সেটা কি বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে?
ড. রকিব চৌধুরী: আমার মনে হয় ম্যাক্সিমাম বুঝতে পারে। আমি যদি দশটা ইমেইল পাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা পিএইচডি করতে ইচ্ছুক। দশটার মধ্যে আটটা বা নয়টার বেলায় দেখা যায় যে তারা সিভি পাঠাবে, ওদের ছোট একটা রিসার্চ প্রপোজালও পাঠাবে। তাদের ইমেইল পড়েই বোঝা যায় যে তারা রেনডমলি আমাকে ইমেইল করেনি। আমার প্রোফাইল তারা দেখেছে ইন্টারনেটে। তারা জানে আমার আগ্রহ কোথায়, তারা জানে আমি কী পড়াই এবং কী নিয়ে গবেষণা করি। এমনকি তারা জানে আমি কী বই লিখেছি বা কী আর্টিকেল লিখেছি। তো তারা খুব ভালো করেই গবেষণা করে এবং এই ব্যাকগ্রাউন্ড রিসার্চটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট কোনো সুপারভাইজারকে ইমেইল করার আগে। কারণ সুপারভাইজার কিন্তু চাইবে যে আমাকে রেনডমলি চুজ করা হয়নি। যে কেউ একজন বলেছে যে ড. রকিব চৌধুরী বলে একজন আছে, বাংলাদেশি, মনাশের এডুকেশন ফ্যাকাল্টিতে। ও আচ্ছা আমার দেশের। নিশ্চয় আমাকে গুরুত্ব দিবে আমি তাকে লিখি। না। সো এটা আমরা দেখতে চাই যে, দে নো অ্যাবাউট আস। উই আর নট এ রেনডম চয়েজ। সো আমি বলব ৮ থেকে ৯ জন আউট অব টেন এটা করে বাংলাদেশ থেকে। হুইচ ইজ ভেরি নাইস। কিন্তু ওই দু-একজন থাকে, যারা অনেকে এমনকি আমাকে ইমেইল করে বলে স্যার… আমাকে একটা সাবজেক্ট দেন আমি পিএইচডি করতে চাই এবং এটা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে যে একটা সাবজেক্ট দিতে হবে। আমি তাদের সরাসরি বলি ইউ আর নট রেডি ফর পিএইচডি। যদি সুপারভাইজারের কাছে টপিক চায়, তার মানে ইউ আর নট রেডি! গো ব্যাক থিঙ্ক অ্যাবাউট ইট। রাইট এ রিসার্চ প্রপোজাল অ্যান্ড দেন গেট ব্যাক টু মি। আমি সুন্দর করে বলি আমি রেগে গিয়ে বলি না।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: তাহলে এই স্টেজে এসে শিক্ষার্থীদের কী করা উচিত আর কী কী করা উচিত না। এটা যদি একটু বলতেন?
ড. রকিব চৌধুরী: খুবই ভালো প্রশ্ন স্মারক। কেউ যদি পিএইচডি করতে চায়, তাহলে এবং সেটা শুধু এডুকেশনের ক্ষেত্রে না আমি বলব যে কোনো ফ্যাকাল্টি, যে কোনো ডিসিপ্লিনে তাহলে তার কতগুলো কাজ করতে হবে… বিফর কন্ট্রাক্টিং দ্য সুপারভাইজার। একটা হচ্ছে যে, একটা টপিক ঠিক করতে হবে। ওই টপিকের ওপর একটা রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে হবে। একটা গবেষণা প্রস্তাবনা এবং সেটা খুব বেশি বড় হওয়ার কিন্তু দরকার নেই।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: কতখানি হলে ভালো?
ড. রকিব চৌধুরী: আমরা বলি যে দেড় থেকে দুই হাজার ওয়ার্ডের। এটা হার্ডলি দুই পেজ, তিন পেজ, চার পেজ হলেই চলবে। একটা গবেষণা প্রস্তাবনা লিখতে হবে। ওই প্রপোজালের কতগুলো অংশ থাকবে। তিন-চারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে… আমি কিসের উপর গবেষণা করতে চাই, আমার গবেষণার প্রশ্নগুলো কী, রিসার্চ কোয়েশ্চন কী, কী থিওরি ইউজ করব, আমার মেথডোলজি কী হবে, আমি কীভাবে কন্টাক্ট করব এবং কেন এই রিসার্চ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সো এটা একটা গবেষণা করে একটা গবেষণা প্রস্তাবনা লিখতে হবে, সিভি লিখতে হবে। তারপর সার্চ শুরু করতে হবে। সার্চ করার সময় ইউ হ্যাভ টু চুজ হুইচ কান্ট্রি ইউ ওয়ান্ট টু স্টাডি ইন। অস্ট্রেলিয়া নাকি কানাডা, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা নাকি ইংল্যান্ড কোথায়? তারপর দেখতে হবে ইউনিভার্সিটি। সবাই কিন্তু প্রোফাইল দেখে ইউনিভার্সিটির। কিন্তু খুব কম স্টুডেন্টই কিন্তু ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টির প্রোফাইল দেখে বা ফ্যাকাল্টির রেঙ্কিং দেখে। সো একটা ইউনিভার্সিটি খুব টপ হতে পারে বাট সেই ফ্যাকাল্টি কেমন করছে সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: এই রেঙ্কিংটা দেখা কী খুব গুরুত্বপূর্ণ?
ড. রকিব চৌধুরী: খুব বেশি কিন্তু ম্যাটার করে না। হোয়াট ম্যাটার্স ইস ইউর সুপারভাইজার। দেখতে হবে সুপারভাইজারের প্রোফাইল কেমন। তার রিসার্চ অ্যাক্টিভ কিনা। তিনি বড় কোনো কাজ করেছেন কিনা। তাদের কোনো ওয়েল সাইটেট পেপার আছে কিনা। সুপারভাইজার ঠিক করার পর ওই সুপারভাইজারকে নিয়ে কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড রিসার্চ করতে হবে যে তিনি কিসে ইন্টারেস্টটেড। কি সুপারভাইস করেছেন, কি পেপার লিখেছেন। ইউ নিড টু নো দ্য সুপারভাইজার। তারপর যখন সিভি রেডি হলো, প্রপোজাল রেডি হলো, সুপারভাইজারও আমি চুজ করলাম। তারপর আমি ওই সুপারভাইজার কে ইমেইল করব। দুটি অ্যাটাচমেন্ট দিয়ে রিসার্চ প্রপোজাল আর সিভি ইমেইলটা খুব বেশি বড় হওয়ার দরকার নেই এবং উচিত না। এই ইমেইলে দেখাতে হবে বা বোঝাতে হবে যে, আমি আপনার সম্পর্কে জানি। আর একটা কথা বলি আপনাকে স্মারক, এটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট আমি আমার স্টুডেন্টদের সব সময় বলি সেটা হচ্ছে যে প্রস্পেক্টিভ স্টুডেন্ট যখন পিএইচডির জন্য চিন্তা করে, তখন ওই স্টুডেন্ট কিন্তু কোন দেশে পড়বে, কোন সাবজেক্ট পড়বে, কোন ফ্যাকাল্টিতে পড়বে… ওরা চুজ করে। কোন বিষয়ে ওরা গবেষণা করবে এটা ওরা চুজ করে। এই সবই কিন্তু ওদের চয়েজ। কিন্তু দে ডোন্ট চুজ দেয়ার সুপারভাইজার। দেয়ার সুপারভাইজার চুজেজ দেম। এটা বোঝাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে দেখতে হবে যে, আমি কিন্তু কোনো সুপারভাইজারকে চুজ করছি না। আমি অ্যাপ্রোচ করছি এবং আমার অ্যাপ্রোচ যত কনভেন্সিং হবে ততই বেশি সম্ভাবনা যে ওই সুপারভাইজার আমাকে চুজ করবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে স্যার টপিকের কথা বারবার বলছিলেন। টপিক কোনটা চুজ করবে? রিসার্চ প্রপোজালের টপিক কেমন হওয়া ভালো?
ড. রকিব চৌধুরী: এটা খুব ভালো আরেকটা প্রশ্ন স্মারক। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইমেইল পাই তাদের সব সুন্দর করে লেখা ইমেইল। সবই করেছে, আমার গবেষণার কথা জানে, স্ট্রং সিভি, অনেকগুলো পাবলিকেশন আছে, রিসার্চ প্রপোজাল খুব ভালো করে লেখা, রেজাল্ট খুব ভালো। কিন্তু টপিকটা ১০ বছরের পুরনো। অনেক প্রসপেক্টেড পিএইচডি স্টুডেন্ট বাংলাদেশের এবং অন্যান্য দেশের ওরা কিন্তু জানে না যে একটা টপিক কত পুরনো।
টপিক চুজ করতে হবে সামথিং দ্যাট ইজ কনটেম্পোরারি, সাম্প্রতিক। টপিক চুস করতে হবে দ্যাট ইজ ফিউচার প্রুফ।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: ফিউচার প্রুফ বলতে কী বোঝাচ্ছেন?
ড. রকিব চৌধুরী: ফিউচার প্রুফ মানে হচ্ছে যে আমি যদি আজকে পিএইচডি শুরু করি আমার পিএইচডি কিন্তু শেষ হবে চার বছর পর। চার বছর পরও কি এই টপিকটা রিলেভেন্ট থাকবে? চার বছর পরও কি এই টপিকটা নিয়ে মানুষ কেয়ার করবে এই জিনিসগুলো চিন্তা করতে হবে। এখন আমি কীভাবে জানবো কোন টপিকটা এখন টেম্পোরারি অ্যান্ড কোন টপিকটা ফিউচার প্রুফ। আমি কীভাবে জানবো এটার উত্তরটা আসলে খুব সহজ। আমাকে কিন্তু লেটেস্ট রিসার্চ পড়তে হবে। নাও লেটেস্ট রিসার্চ পড়তে হবে মানে এই না যে এটা নিয়ে আমাকে বিশাল পিএইচডি থিসিসের মতো লিখতে হবে, প্রচুর পড়তে হবে তেমন কিছু না। আমি আমার এরিয়াতে টপ জার্নালগুলোতে যাবো। ওখানে আমি লেটেস্ট তিন-চারটা ইস্যু, ওখান থেকে সিলেক্টিভ কিছু আর্টিকেল আমার এরিয়াতে পড়বো জানাবো। সাধারণত একটা রিসার্চ আর্টিকেলে, যেখানে আর্টিকেল শেষ হয় হচ্ছে রিকমেন্ডেশন দিয়ে যে এই গবেষণাতে এটা করেছি কিন্তু এই জিনিসটা করা উচিত ভবিষ্যতে। এখান থেকেই কিন্তু ভালো একটা আইডিয়া আসে যে কোনো বিষয়গুলো এই বছর গুরুত্বপূর্ণ। ৩-৪ বছর পরও গুরুত্বপূর্ণ থাকবে এটা কিন্তু খুব বেশি কঠিন না। আমি আবারো বলছি যে ইটস নট জাস্ট অ্যাবাউট ইউর সিভি ইউর পাবলিকেশন্স সাইটেশন অ্যান্ড এভরিথিং। কিন্তু আপনার টপিকটা হতে হবে ইন্টারেস্টিং এনাফ অ্যান্ড ইট হ্যাজ টু বি কাটিং এইজ। যেটা ২০২৫ সালেও রেলেভেন্ট অ্যান্ড ইম্পর্ট্যান্ট।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে প্রপোজালের কি কোনো স্ট্রাকচার আছে, স্যার যেটা আপনারা মানে চান স্টুডেন্টদের কাছ থেকে?
ড. রকিব চৌধুরী: হ্যাঁ, আছে এসব সব ডিসিপ্লিনে মোটামুটি একই। প্রপোজালের তিনটা-চারটা অংশ আছে। প্রথমে ভূমিকা বা সূচনা যেটাই বলেন। এখানে আমি জানাব, আমার টপিকটা কি, এটার একটা রেশনাল থাকবে। রেশনাল মানে হচ্ছে কেন এটা দরকার। সো কি এবং কেন দুটো থাকবে ইন্ট্রোডাকশনে। তারপর থাকবে একটা লিটারেচার রিভিউ। লিটারেচার রিভিউর মধ্যে আমি দেখাবো যে এটা নিয়ে কী কী গবেষণা করা হয়েছে, কী কী নিয়ে এখনো গবেষণা করা হয়নি বা গ্যাপ আছে। কী কী রিকমেন্ডেশন দিয়েছে আগের গবেষণাগুলো এই টপিকের উপর এবং কী কী থিওরি আমি ইউজ করতে চাই এটা হচ্ছে লিটারেচার রিভিউ। আর থাকবে রিসার্চ কোয়েশ্চন। গবেষণার প্রশ্নগুলো যে সাধারণত দুটো- তিনটা থাকে আমার এরিয়াতে এই আনসারগুলো এই প্রশ্নগুলো আমি উত্তর দিতে চাই। আচ্ছা সেটা গেল লিটারেচার রিভিউ সেকেন্ড অংশ এবং থার্ড অংশটা হচ্ছে হাউ। সেটা হচ্ছে মেথডোলজি যে আমি এটা কীভাবে আমি গবেষণা করব। এটা কি কেস স্টাডি হবে। আমি কি ইন্টারভিউ করব। আমি কি ৬ জন পার্টিসিপেন্ট নিয়ে কাজ করব নাকি ২০০ জন পার্টিসিপেট নিয়ে একটা লার্জ স্কেল কোয়ান্টিটিভ স্টাডি করব। এটা কি এথনোগ্রাফিক হবে নাকি মিক্সড মেথড স্টাডি হবে। যেখানে কোয়ালিটি নিড কোয়ান্টিটি নিড দুটোই থাকে। আমি কীভাবে গবেষণা করব, আমি কীভাবে ডাটা অ্যানালাইসিস করব, আমি কীভাবে সেটা অনুসন্ধান করব, রেজাল্টগুলো কীভাবে আমি ভ্যালিডেড করব, এটা হচ্ছে মেথডোলজি। সো তাহলে কি হলো ইন্ট্রোডাকশন, লিটারেচার রিভিউ, মেথডোলজি তারপর একটা টাইপ লাইন এই তো সাধারণত এভাবেই লেখা হয় রিসার্চ প্রপোজাল এবং মোটামুটি সব সাবজেক্টে একই রকম।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে এই যে বলা হয় যে, সে খুবই ভালো পিএইচডি করেছে সেইটার মানদণ্ড কী?
ড. রকিব চৌধুরী: মাস্টার্স এবং ব্যাচেলর ডিগ্রিতে যেমন নাম্বার গ্রেড বা লেটার গ্রেড দেওয়া হয় পিএইচডিতে কিন্তু সাধারণত গ্রেড বা নাম্বার দেওয়া হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে যে আমরা তাহলে কোয়ালিটি কীভাবে জাজ করব? প্রথমত হচ্ছে পিএইচডি থিসিস সুপারভাইজ করে দুজন সুপারভাইজার। একজন স্টুডেন্টকে কিন্তু তারা কোয়ান্টিফাই বা কোয়ালিফাই করে না। এক্সটার্নাল এক্সামিনাররা এক্সামিন করে এবং তারাও এটাতে কোনো সংখ্যা বা লেটার গ্রেড দেয় না। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও মানদণ্ডের একটা ব্যাপার থাকে কিন্তু। একটা হচ্ছে যে কনটেম্পোরারিনেস। আমি যে বিষয়ে গবেষণা করেছি এবং আমি গবেষণা থেকে যা পেয়েছি, সেটা সাম্প্রতিককালের জন্য কতটা রিলেভেন্ট। কতটা ইউজফুল। আর আমরা একটা টার্ম ইউজ করি, সেটা হচ্ছে ইন্টালেকচুয়াল কন্ট্রিবিউশন বা স্কলারলি কনট্রিবিউশন। এই রিসার্চে জ্ঞানগত দিক দিয়ে এটা মানব জাতির কোন কাজে লাগবে। আমি যে থিসিস করলাম সেটার রেলিভেন্স কি থাকবে দুই বছর পর তিন বছর পর? এটা কি মানুষ পড়বে পরে? তাদের কি কোনো কাজে লাগবে? আমার মনে হয় এই দুটো জিনিস দিয়েই মাপা যায় একটা থিসিসের কোয়ালিটি।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: স্যার আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ড. রকিব চৌধুরী: স্মারক আপনাকেও ধন্যবাদ।