Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

DAAD Scholarship

স্কলারশিপে গিয়ে দেশের শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৫৬

স্কলারশিপে গিয়ে দেশের শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে
DAAD (German Academic Exchange Service) মূলত জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ প্রসারে কাজ করে। এটির বাংলাদেশ কার্যালয়টি ঢাকাস্থ জার্মান কালচারাল সেন্টারে অবস্থিত এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, আবেদন প্রক্রিয়া ও ভাষা প্রস্তুতি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে একাডেমিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং গবেষণা বিনিময়েও ভূমিকা রাখে এই কার্যালয়। মাহবুব স্মারক কথা বলেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সুমন এর সাথে। আজ থাকছে শেষ পর্ব)

মাইগ্রেশন কনসার্ন: বাংলাদেশ থেকে যারা স্কলারশিপে যান জার্মানিতে, তারা সেখানে গিয়ে কী ধরনের একাডেমিক এবং সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হন?

মাহমুদুল হাসান: এখন তো ইন্টারনেট অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল। সবকিছুই নেট থেকে দেখে শেখা যায়। সে কারণে সামাজিক দিক থেকে আমি তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ দেখি না। হয়তো ভাষাগত দক্ষতা কম থাকে, সে যদি জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ একেবারেই না জানে, তাহলে তো তার জন্য কোনো কোনো জায়গায় একটু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এছাড়া আমি মনে করি, হয়তো খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে একটু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ হয়তো বাঙালি ফুড খুব সহজলভ্য নয়। আর জার্মানিতে হয়তো বন্ধুত্ব করাটা একটু চ্যালেঞ্জিং। যদিও আমরা খুবই ইজিলি বন্ধু হয়ে যাই। হয়তো সে ক্ষেত্রে তার বন্ধু পেতে একটু সময় লাগতে পারে। অনেক সময় একাকিত্বটা একটু সমস্যার হয়। আর হ্যাঁ, হোম সিকনেস হতে পারে প্রথম এক মাস পর। তো এই ব্যাপারগুলো একটু মাথায় নিয়ে যেতে হবে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: শিক্ষাক্ষেত্রে কোন চ্যালেঞ্জ হতে পারে?

মাহমুদুল হাসান: শিক্ষাক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ ওখানকার এডুকেশন সিস্টেম অনেকটাই অন্যরকম, আমাদের মতো নয়। আমাদের এখানে যেমন পরীক্ষা সিস্টেমগুলো একদম এত তারিখে পরীক্ষা, এইভাবে প্রিপারেশন নিলাম, পরীক্ষা দিলাম। ওখানে কিন্তু তা না। ওখানে মোটামুটি ক্লাসরুম অ্যাসেসমেন্টই বেশি। অ্যাসাইনমেন্ট বেস অ্যাসেসমেন্ট বেশি। ওখানে আমি হয়তো ভাবলাম যে না এই ৭ দিন আমি ক্লাস করলাম না, এই ৭ দিন পড়লাম না- এটা পরে কাভার করে নেব। এই চিন্তাটাই করা যাবে না। এটা যে দিনের কাজ প্রফেসর আপনাকে যেভাবে ইনস্ট্রাক্ট করছেন ওভাবেই করতে হবে। ফেল করলে কিন্তু তখন আবার সমস্যা হয়ে যাবে। পর পর দুবার ফেল করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ থাকে না। এ জন্য আমরা বলি যে এডুকেশনাল চ্যালেঞ্জটাই বরং বেশি। কারণ সোশ্যাল ব্যাপারগুলো হয়তো ইন্টারনেট থেকে দেখে অনেকটা শেখা যায়। বাট এডুকেশনাল যে চ্যালেঞ্জগুলো ওখানে, সিন্সিয়ারলি পড়াশোনা করার যে বিষয়টি, এটা সবার আমার মনে হয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: জার্মান ভাষা শিক্ষাটা কি গুরুত্বপূর্ণ?

মাহমুদুল হাসান: জার্মান ভাষা না জানলে আমি তো বললাম, সামাজিকতায় সমস্যা হবে। মনে করেন আপনি একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন চারজন বন্ধুসহ; একজন জাপানের, একজন ইতালির আর একজন হয়তো ভারতের। হয়তো ভারতের ছেলেটা ইংরেজি জানবে। কিন্তু ইতালি এবং জাপানের তারা দুজন কিন্তু ইংরেজি নাও জানতে পারে। তারা হয়তো শুধু জার্মান জানে। আর আপনি জার্মান জানেন না, তাহলে তো কমন ল্যাঙ্গুয়েজে একটাও থাকল না। এ জন্য আমরা বলব, জার্মান ভাষা অবশ্যই জেনে যেতে। কারণ যাতে আপনি কমিউনিকেট করতে পারেন আপনার কমিউনিটির মধ্যে।

কেউ যদি পিয়ারের কথা চিন্তা-ভাবনা করে বা কেউ যদি জার্মানিতে জবের কথা চিন্তা-ভাবনা করে, তাহলে তো তার জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজে লাগবেই। তখন তো আপনার আল্টিমেটলি আবার নতুন করে জার্মান পড়ে বি ওয়ান কমপ্লিট করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই জেনে থাকা ভালো না?

মাইগ্রেশন কনসার্ন: কিন্তু একটা জিনিস, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা যেটা খুব বেশি ফেস করে, যেমন আমি ছেলেমেয়েদের কাছে জিজ্ঞেস করেছি তারা জার্মান ভাষা শিখতে চায় কিন্তু শেখার তো জায়গা নেই। মানে একমাত্র এই গ্যাটে ইনস্টিটিউট। আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে যে, যাতে ভাষা শিখতে পারে। কারণ ভাষা কমিউনিকেশন এটা দুই দেশের মধ্যে ব্রিজ তৈরি করে। আপনি ভালো বলতে পারবেন, দুইশ আড়াইশ লাইন ধরে আছে তারা শিখতে চায়। আপনাদের কোন স্টেপ আছে যে আরো কয়েকটা জায়গায় এনরোল করা?

মাহমুদুল হাসান: এটা তো গ্যাটে ইনস্টিটিউট ভালো বলতে পারবে। কিন্তু আমি যেটা দেখি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এখানে আসলে খুব বেশি স্কোপ নেই। কারণ এখানে লিমিটেশনের মধ্যেই গ্যাটে ইনস্টিটিউটে অনেক দিন থেকে আছে এবং এই সিট ক্যাপাসিটির বাইরে আমার মনে হয় হ্যাঁ অনলাইন কিছু কোর্স তো এখন এই ইনস্টিটিউট অফার করছে। তো ক্যাপাসিটি হয়তো আরো বাড়ানো যেতে পারে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো আরো যদি অনলাইন ব্যাচ চালু করা যায়। কিন্তু অফলাইনে যে ব্যাচগুলো আছে, এর থেকে বেশি এই মুহূর্তে পরিকল্পনা নেই আমি যতটুকু জানি।

মাইগ্রেশন কনসার্: সে ক্ষেত্রে যদি কেউ এখানে ভর্তি না হতে পারে?

মাহমুদুল হাসান: আমরা বলব যে গ্যাটে ইনস্টিটিউটে কিন্তু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে। ডশ ফূডীশ হ্যাঁ যেটা খুবই ভালো প্ল্যাটফর্ম এবং ডয়েচে ভেলের কিছু ভালো চ্যানেল আছে। কিছু ভালো লার্নিং মেটেরিয়াল আছে। এগুলো থেকেও তারা শুরু করতে পারে। তারা হয়তো গ্যাটের যে বইটা পড়ানো হয়, এই বইটা তারা যদি কালেক্ট করে হ্যাঁ, অন্য কোনো বই না পড়ে এই বইটাই যদি পড়ে এবং যদি তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কিছু সহযোগিতা নেয় তাহলে কিন্তু তারা সেলফ লার্নিংয়ের মাধ্যমেও করতে পারবে। এটা যে একেবারে কারো কাছে গিয়ে শিখতেই হবে এমন না। কারণ ল্যাঙ্গুয়েজে লার্নিংয়ের এখন অনেক সোর্স আছে। হ্যাঁ, ইচ্ছেটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমি শিখব। ভাষাটা আমি শিখবই যেভাবেই হোক। তাহলে সে পারবে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: ডিএএডি বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়, অন্য নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে এই সহযোগিতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চালু রাখছে কিনা? 

মাহমুদুল হাসান: হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমরা প্রতি বছরই নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। মনে করেন আমরা গত বছর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি, প্রতি বছরই আমরা অন্তত কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড করি। অর্থাৎ আমরা চেষ্টা করি যে ম্যাক্সিমাম। বাংলাদেশের যে প্রায় ১৫০ টারও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। হয়তো সবগুলোতে আমরা যেতে পারিনি এখনো। বাট আমরা ম্যাক্সিমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত একবার হলেও গিয়েছি। লাস্ট কাপাল অব ইয়ার্সে অন্তত আমি যে কয়েক বছর আছি। সো এভাবে আমরা নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। তখন ওখানে একটা সেনসেশন তৈরি হয়। তারা জানতে পারে, হ্যাঁ ডিএএডির একটা অফিস আছে। এইভাবে আমরা যাওয়ার চেষ্টা করি যদিও হয়তো সব ডিপার্টমেন্ট সব স্টুডেন্টকে একসঙ্গে পায় না। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের পোটেনশিয়ালস কেমন দেখেন, যারা এখান থেকে আপনাদের মাধ্যমে জার্মানি গেছে এবং নিশ্চয় বাংলাদেশের সেই স্টুডেন্টদের রিপোর্ট আপনার কাছে আসছে সব কিছু।

মাহমুদুল হাসান: রাইট দে আর ডুইং রিয়েলি গ্রেট। আপনি হয়তো জেনে খুশি হবেন যে বাংলাদেশে কিন্তু জার্মান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আছে একটা। জার্মান থেকে পড়াশোনা করে আসা যারা স্কলার। তাদের কিন্তু একটা অ্যাসোসিয়েশন আছে এবং তারা বেশ একটিভলি কাজ করে। তারা বাংলাদেশে যেমন ফিরে এসে অনেক কন্ট্রিবিউশন আছে তাদের এবং আমি দেখি যে যারা রিসেন্টলি গিয়েছে তারাও খুব ভালো করছে ওখানে। ফলাফলও অনেক ভালো তাদের এবং তারা অনেকেই আবার দেশে ফিরে এসে হয়তো দেশের জন্য কাজ করবেন এটাই আমরা আশা রাখি এবং আমাদের যে স্কলারশিপটা, ওখানে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন আছে যে তারা সেখানে গিয়ে স্কিল ডেভেলপ করে আবার দেশে এসে তারা দেশের জন্য কাজ করবে। আমাদের ম্যাক্সিমাম অ্যালামনাই কিন্তু এটা করছে। খুবই কম আছে যারা হাতে স্টে ব্যাক করছে। অধিকাংশই কিন্তু ওখানে স্কলারশিপ শেষ করার পরে পড়াশোনা করে আরো স্কিলড হয়ে আবার দেশে এসে তারা তাদের ফিল্ডে কন্ট্রিবিউট করছে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আমরা মোটামুটি ইন্টারভিউ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আপনার কাছে যদি জানতে চাই যে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্টরা যেতে চান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আমি বলব যে একটা ভালো গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া, একটা গন্তব্য ইউরোপের অন্য দেশগুলো। ঠিক কি কারণে জার্মানি যাবে স্টুডেন্টরা? কেন যে আপনাকে একটা পসিবল গন্তব্য হিসেবে তারা বিবেচনা করবে, আপনার কাছে সেটা জানতে চাই।

মাহমুদুল হাসান: আমি এটার প্রথম কারণ বলব সেটা হচ্ছে কোয়ালিটি অব এডুকেশন। জার্মানিতে আমরা যদি একটু রিমোট এরিয়ারও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, যেটা একদম মেগা সিটিতে না লাইক মিউনিক বা বার্লিন এমন না। সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কিন্তু আমরা খুব ভালো শিক্ষকের দেখা পাই। ইভেন সাম টাইমস নোবেল লরিয়েট প্রফেসরদেরও আমরা দেখা পাই। তো এই যে চারশরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, এগুলোতে তারা যে কোয়ালিটিটা মেইনটেইন করছে- এটা হচ্ছে একটা মূল কারণ। কারণ আমি অনেক স্টুডেন্টকেই বলতে শুনি যে, তার জার্মানি চুজ করার দুইটা কারণ- একটা হচ্ছে কোয়ালিটি অব এডুকেশন, আরেকটা হচ্ছে দেয়ার ইস নো টিউশন ফি লাইক আদার কান্ট্রিজ। ফিন্যান্সিয়াল ব্যাপারটা তো আছেই। আরো একটা হচ্ছে কোয়ালিটি অব লাইফ। কারণ এখানে ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স খুব ভালো। যখন কোনো জব করে তার যে জব এবং পার্সোনাল লাইফের ব্যালান্স এটা খুব ভালোভাবে মেইনটেইন করা হয়। জার্মান অর্গানাইজেশনে কাজ করার কারণে আমাদের কিন্তু ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স খুব ভালো। এগুলো অনেকেই বিবেচনা করে এবং আরো একটা অপরচুনিটির কথা বলি সেটা পার্ট টাইম কাজ করা। পৃথিবীর অনেক দেশে কিন্তু স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম কাজ করতে পারে না আমি যতটুকু জানি। কিন্তু জার্মানিতে তারা কিন্তু পার্ট টাইম কাজ করে অনেকটাই তাদের যে লিভিং কস্ট কাভার করতে পারে। তো এটাও একটা আকর্ষণীয় বিষয়, কারণ যে আমি হয়তো একটা সার্টেইন অ্যামাউন্ট অব ব্লক মানি দেখিয়ে গেলাম জার্মানিতে। কিন্তু গিয়ে আমার এই ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা পুরোটা হয়তো খরচ করতে হলো না। আমি পার্ট টাইম করে আমার লিভিং কস্টটা তুলে ফেললাম। তাহলে দেখেন একে তো আপনার টিউশন ফি নেই। তারপর আবার লিভিং কস্টটা আপনি পার্ট টাইম জব করে ফেলছেন। তাহলে তো আল্টিমেটলি আপনি অনেক কম খরচেই একটা বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করছেন। তো ফিন্যান্সের দিক থেকে এটা একটা বড় কারণ। কারণ ফিন্যান্সিয়াললি অল্প কিছু টাকা হলেই ব্লক অ্যাকাউন্টে টাকাটা হলেই একটা স্টুডেন্ট যে  যাওয়ার স্বপ্নটা দেখতে পারে। স্কলারশিপ না পেলেও। আর ফার্স্ট অব অল কোয়ালিটি তো অবশ্যই মেটার।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: তার মানে আপনি বলবেন যে অন্য অনেক দেশের চেয়ে জার্মানি ভালো?

মাহমুদুল হাসান: হ্যাঁ, আপনি যদি ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিংয়ে দেখেন, আমাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং আছে এবং ইভেন যেগুলো র‍্যাঙ্কিংও নেই সেগুলোর কোয়ালিটিও ভালো বলে আমরা আশ্বস্ত করতে পারি।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: ঠিক আছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মাহমুদুল হাসান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

Logo