DAAD Scholarship: দ্বিতীয় পর্ব
জার্মানির স্কলারশিপের প্রস্তুতি নিতে হবে দুই মাস হাতে রেখে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৫৪

DAAD (German Academic Exchange Service) মূলত জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ প্রসারে কাজ করে। এটির বাংলাদেশ কার্যালয়টি ঢাকাস্থ জার্মান কালচারাল সেন্টারে অবস্থিত এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, আবেদন প্রক্রিয়া ও ভাষা প্রস্তুতি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে। জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে একাডেমিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং গবেষণা বিনিময়েও ভূমিকা রাখে এই কার্যালয়। সম্প্রতি মাহবুব স্মারক কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সুমন এর সাথে। আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব)
মাইগ্রেশন কনসার্ন: বাংলাদেশ থেকে যারা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করছেন, তাদের কোন ধরনের বিশেষ যোগ্যতা থাকলে সহজে স্কলারশিপ মিলবে?
মাহমুদুল হাসান: জার্মানিতে স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য তাকে সেই সাবজেক্টে ব্যাচেলর কমপ্লিট করতে হবে। কিন্তু স্কলারশিপ ছাড়া যদি সে পড়তে চায়, তাহলে আমরা বলব যে তার একটা ভালো রেজাল্ট প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ অনেক সময় অনেক স্টুডেন্ট আসে, যাদের গ্রেড অনেক কম। যেমন ৬০% এর কম মার্ক থাকলে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রান্সফার কঠিন। আমরা বলব, পড়ালেখায় তার প্রতিষ্ঠানের রেজাল্টটা ভালো রাখতে হবে। আর পাশাপাশি যদি আইইএলটিএসের স্কোর সিক্স পয়েন্ট ফাইভের উপরে থাকে, তাহলে কিন্তু তার একটা চান্স পাওয়ার সুযোগ থাকে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: ধরেন, একটা ছেলে আইইএলটিএসে সিক্স পয়েন্ট ফাইভ পেল। তাহলে সেই স্টুডেন্টের আবেদনের প্রক্রিয়াটা এবং প্রস্তুতিটা কী হবে? আমাকে যদি সেটা বলেন, কেউ একজন এ রকম একটা ভাষা পরীক্ষায় ভালো করল, তারপর কীভাবে ডিরেক্ট স্কলারশিপ পেয়ে সে পড়তে যেতে পারে জার্মানিতে?
মাহমুদুল হাসান: প্রথমেই তাকে দেখতে হবে যে, তার যে সাবজেক্ট ফিল্ড সেটাতে আমরা স্কলারশিপ অফার করছি কিনা। যদি অফার করি, তাহলে তাকে ওই ডেডলাইনটা খেয়াল করতে হবে এবং আরেকটা ভুল অনেকে করে থাকে যে, তারা একদম লাস্ট ডেটে অ্যাপ্লাই করে। তো শেষ তারিখে আবেদন করলে যেটা হয়, ওই সময় সার্ভার অনেক বেশি বিজি থাকে। অনেক সময় অ্যাপ্লিকেশন আপলোড করা যায় না। এ জন্য আমরা বলব যে, ডেডলাইনগুলো এভয়েড করে একটু আগেই আবেদন করতে। তাহলে প্রথম স্টেপই হচ্ছে যে, তাকে দেখতে হবে আদৌ তার সাবজেক্ট ফিল্ডে আমাদের কোনো স্কলারশিপ আছে কিনা। আমাদের স্কলারশিপ কিন্তু লিমিটেড সাবজেক্ট। স্কলারশিপ থাকলে সেভাবে নিজেকে রেডি করতে হবে। আর না থাকলে সেলফ ফান্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: যারা আবেদন করেন, তারা আসলে কোন কোন ভুলগুলো করেন, যেটা করা উচিত না।
মাহমুদুল হাসান: প্রথমত ডেডলাইনের আগেই আবেদন করতে হবে। কিছুদিন আগেও আমার অফিসে একটা ছেলে এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ও আপলোড করতে পারছিল না। অনেক সময় অনেকে ডকুমেন্টেশনে ভুল করে। হয়তো একটা-দুইটা ডকুমেন্ট মিসিং করে ফেলে। এ জন্য আমরা বলব যে, একটা সুন্দর নোট করে যে কী কী ডকুমেন্ট লাগছে। আমাদের কিন্তু পোর্টালে সবকিছু দেওয়া আছে যে, কী ধরনের ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। সেটা একটা লিস্ট করে সব ডকুমেন্ট আপলোড করা খুবই জরুরি।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে সেটার প্ল্যানিংটা কী রকম করে হওয়া উচিত?
মাহমুদুল হাসান: আমার মনে হয়, এক থেকে দুই মাসের একটা ভালো প্ল্যানিং লাগবে। ধরেন ডেডলাইন যদি হয় ৭ অক্টোবর, তাহলে তার অন্তত আগস্ট থেকেই মোটামুটি সব ডকুমেন্ট রেডি করতে হবে। অনেক সময় তো আমরা বলি যে এক বছর আগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে। যে নেক্সট ইয়ারে আবেদন করবে, এক বছর আগে থেকেই সে প্রিপারেশন নেবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: প্রথম কোন প্রিপারেশনটা নেওয়া উচিত। প্রথম একদম ফার্স্ট জব?
মাহমুদুল হাসান: একদম ফার্স্ট প্রিপারেশন হচ্ছে তার আইইএলটিএস রেডি থাকতে হবে, একটা ভালো স্কোর নিয়ে। আদার ওয়াইজ আর কিছু লাগবে না। কারণ জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ সব স্কলারশিপের জন্য প্রযোজ্য নয়। সো আইইএলটিএস গুরুত্বপূর্ণ। আইইএলটিএসের প্রিপারেশনটা নিতে পারে। আর একাডেমিক রেজাল্টটা ভালো করতে পারে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: স্টেটমেন্ট অব পারপাস বা একাডেমিক সিনে কীভাবে প্রস্তুতি নেবে? সেটা কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়, কোনো গাইডলাইন আছে?
মাহমুদুল হাসান: আমাদের ওইভাবে কোনো পার্টিকুলার গাইডলাইন নেই। আমাদের ওয়েবসাইটে কিছু ডাউনলোড সেকশনে কিছু গাইডলাইন দেওয়া আছে। হাউ টু রাইট রিসার্চ প্রপোজাল। আমরা একটাই সাজেস্ট করি স্টুডেন্টকে, মোটিভেশন লেটার সে যেন নিজেই লিখে ইট শুডবি রিটেন বাই হিস ওন। আমরা হয়তো গুগল থেকে একটা প্রম্পট নিয়ে একদম কপি পেস্ট করে লিখলাম। এভাবে আমরা এনকোরেজ করি না। দে শুড রাইট ফ্রম দেয়ার ওন ইংলিশ। দে শুড আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট দেয়ার রাইটিং, হোয়াই দে আর মোটিভেটেড তো গো টু জার্মানি। সো এই জিনিসটা মেইনটেইন করলেই হবে। আর রিকমেন্ডেশন লেটারগুলো তো তাদের শিক্ষকের কাছ থেকে নিতে হবে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন: জার্মান ভাষা জানা এবং শেখা, সেটা কি এই স্কলারশিপে কোনোভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
মাহমুদুল হাসান: খুব একটা না। কারণ জার্মান ভাষাটা আপনার ডেইলি লাইফে প্রয়োজন হবে। ওখানে গেলে ডে টু ডে লাইফে। কিন্তু স্কলারশিপগুলো ম্যাক্সিমামই ইংলিশে। সে কারণে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য জার্মান ভাষার যোগ্যতা থাকতে হবে এমন কোনো বিষয় নেই।
চলবে…