Logo
×

Follow Us

মতামত

সাক্ষাৎকার ডা. বাশিদুল ইসলাম

কেয়ারগিভার তৈরি হলে দেশে-বিদেশে চাকরি পাবে বেকার তরুণরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩:১১

কেয়ারগিভার তৈরি হলে দেশে-বিদেশে চাকরি পাবে বেকার তরুণরা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. বাশিদুল ইসলাম প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছেন কেয়ারগিভার। ২০১৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কেয়ার গিভার্স ইনস্টিটিটিউট অব বাংলাদেশ (সিআইবি)। সে সময় মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে যাত্রা শুরু করে সিআইবি। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে কেয়ারগিভার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৩২ জন শিক্ষার্থী। গেল পাঁচ বছরে কমপক্ষে হাজারখানেক কেয়ারগিভার ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়েছেন তার প্রতিষ্ঠান থেকে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এনএসডিএর সার্টিফাইট হয়ে দেশে-বিদেশে কাজ করছে বাশিদুলের এই প্রতিষ্ঠান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. বাশিদুল ইসলামের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহবুব স্মারক।  

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আপনাকে স্বাগত জানাই আজকের সাক্ষাৎকারে। আমরা জানি সারা পৃথিবীতেই বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত ইউরোপ, আমেরিকা এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোতে। সেই কারণেই দেশে-বিদেশে কেয়ারগিভার, নার্সের প্রয়োজন হচ্ছে। আপনারা কেয়ারগিভারদের ট্রেইনিং দিচ্ছেন। আপনাদের স্টুডেন্টরা দেশের বাইরে যাচ্ছেন। দেশে-বিদেশে কেয়ারগিভারদের চাহিদা কেমন দেখছেন?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: ধন্যবাদ আপনাকে। প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে আমি  ছোট্ট একটু পটভূমি বলতে চাই, সেটা হলো যে দেখেন বাংলাদেশে কিন্তু কেয়ারগিভার শব্দটা খুব বেশি পুরাতন শব্দ না। এই প্রফেশনটার সাথে আমরা কিন্তু খুব বেশিদিন যাবৎ পরিচিত না। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি তখন জাতিসংঘ শান্তি বাহিনীতে কাজ করতাম। সেখানে কেয়ারগিভারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার জানার সুযোগ হয় এবং আমি এটা নিয়ে অনেকটা পড়াশোনাও করি। দেশে ফিরে রিটায়ারমেন্টের পরে চিন্তা করলাম যে যদি এখানে সত্যিকারের যদি একটা মানুষকে হেলথ কেয়ার, কমপ্লিট হেলথ কেয়ার দিতে হয়, তাহলে একটা কেয়ারগিভার এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেখান থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি সীমিত আকারে হলেও কিছু কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ দেব। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: কেয়ারগিভারদের কাজের ধরনটা ঠিক কেমন?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: যেমন ধরেন খুব অসুস্থ একটা মানুষ যে হয়তো স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে আছে, প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছে তার পাশে কেউ নাই। ক্যান্সার হয়ে বিছানায় পড়ে আছে তার পাশে থেকে সেবা দেওয়ার মতো মানুষ নাই। কারণ সেখানে তো ডাক্তাররা তো সবসময় তাকে সেবা দিতে পারবে না। নার্সও পারবে না কিন্তু একটা কেয়ারগিভার কিন্তু সার্বক্ষণিকভাবে তার পাশে থেকে সেবা দেয়।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: কেয়ারগিভারদের চাহিদা কেমন বাড়ছে?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: দেশে-বিদেশে এল্ডারলি পিপলের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে কিন্তু সারা পৃথিবীতে কেয়ারগিভারদের চাহিদা প্রচণ্ড রকমভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা এই সমস্ত উন্নত দেশগুলোতে কিন্তু তাদের বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। আর বৃদ্ধ হলেই অসুখ-বিসুখ চলে আসে। তখন তাদের পাশে কিন্তু কেয়ারগিভারের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। কারণ উন্নত দেশগুলোতে বৃদ্ধদের সেবা দেওয়ার মতো তরুণ ও কর্মঠ লোক নাই। যে কারণে সেসব দেশ ইন্ডিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইভেন নেপাল থেকেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কেয়ারগিভার কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। তারা এই সেবাটা কিন্তু নিচ্ছে। গত পাঁচ বছর যাবত আমি এই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আর আপনি যেটা বললেন যে চাহিদা কেমন তাহলে বলতে হবে ক্রমান্বয়ে কিন্তু এই চাহিদাটা বাড়ছে। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: বাংলাদেশে এই কাজ শেখলে চাকরি পাওয়ার বিষয়ে কেমন সম্ভাবনা দেখেন?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: আমাদের সুবিধা হলো, আমাদের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। সেটা বেকার জনগোষ্ঠী। আছে ইয়াং জনগোষ্ঠী। যারা আসলে কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। তারা আনস্কিলড হয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। কিন্তু তারা যে পরিমাণ সম্মানী পাওয়া দরকার, সেই ধরনের সম্মানী তারা পাচ্ছে না। আল্টিমেটলি যেটা হচ্ছে যে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী থেকে আমরা খুব ভালো সার্ভিসটা পাচ্ছি না। তো এখন এদের যদি একটু প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় বিশেষ করে কেয়ারগিভিংয়ে তাহলে কিন্তু বেশ কিছু ছেলেমেয়ে আমাদের ইয়াং জেনারেশন বিদেশে যেতে পারে। তারা কিন্তু দেশের জন্য প্রচুর পরিমাণে ফরেন কারেন্সি  আনতে পারবে। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আপনার ইনস্টিটিউটে এ পর্যন্ত কতজন কেয়ারগিভারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন? তারা কোথায় কাজ পাচ্ছে? 

ডা. বাশিদুল ইসলাম: দেখুন, আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সিচুয়েশনে কিন্তু এই কাজটা শুরু করেছি। কারণ এই কেয়ারগিভার শব্দটাই কেউ জানত না। মানুষ জানত না আমরা যখন এটাকে এবং মানুষকে কিছু বলা শুরু করলাম তাদের কত রকমের প্রশ্ন, এটা করে কী হবে? সরকারি চাকরি পাব কিনা?... মানে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং কী? অনেক কিছু। যে কারণে আমরা যদি খুব বেশি সংখ্যক কেয়ারগিভার তৈরি করা বলেন সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সরকারিভাবেও কিন্তু এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো সহায়তা যে পাচ্ছি না, তা নয়। তো খুব বেশি সংখ্যক কেয়ারগিভার আমরা তৈরি করতে পেরেছি, আমি এটা বলব না। তারপরও আশার কথা হলো যে এই গত পাঁচ বছরে কিন্তু আমার এখান থেকে ১০৩৬ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে এবং মফস্বলে যেখানে ক্লিনিক সেখানে সেবা দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ওল্ডহোম যেগুলো আছে সেখানে এই ইল্ডারলি পিপলদের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ডে কেয়ার সেন্টারগুলোতে কাজ করছে। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদা আমাদের কিনা আসে হোম কেয়ার দেওয়ার জন্য। দেখা যায় যে প্রতি ১০টা ফ্যামিলির একটা ফ্যামিলিতে বৃদ্ধ মানুষ আছে। অথবা অসুস্থ মানুষ আছে তারা কিন্তু হন্যে হয়ে একটা কেয়ারগিভার খোঁজে। কারণ ওই মানুষটাকে সেবা দেওয়ার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের ট্রেনিং নাই। যে কারণে ওই মানুষগুলোর সেবা দেওয়ার জন্য মানুষ কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই আমাদের কাছে কেয়ারগিভার এর জন্য অনুরোধ করছে। আর সেবার একটা মোটিভেশন থেকে ছেলেমেয়েরা কিন্তু আসছে। প্রশিক্ষণ তারা নিচ্ছে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: এই প্রশিক্ষণের কী কোনো সরকারি সার্টিফিকেট ছেলেমেয়েরা পাচ্ছে? 

ডা. বাশিদুল ইসলাম: প্রথমত হলো যে এই প্রশিক্ষণটা কিন্তু আমি নিজের ইচ্ছা মতো দিচ্ছি না। অনেক অপেক্ষার পর এটা বাংলাদেশ সরকারকে আমরা বোঝাতে পেরেছি যে, এইটা একটা প্রয়োজনীয় প্রফেশন এবং এটার জন্য একটা স্বীকৃতি দরকার আছে। এর সার্টিফিকেশন দরকার আছে। যে কারণে প্রথমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে আমরা শুরু করি। সেখানে সিলেবাস তৈরি করা হয়। বইপত্র লেখা হয়। এর সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। পরবর্তী সময়ে এনএসডিএ আপনি জানেন ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে একটা বিভাগ। এখন বর্তমানে বাংলাদেশে যত রকম স্কিল ডেভেলপমেন্ট আছে এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে তারা কাজ করছে। তো সেখানেও এই প্রফেশনটার জন্য সিলেবাস তৈরি করা হয়। টুলস, টেকনিক, বইপত্র এগুলো সব লেখা হয়। তাদের অনুমোদন নিয়ে কিন্তু আমরা প্রশিক্ষণটা দিচ্ছি এবং ভালো সংবাদ হলো যেটা যে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত একটা সার্টিফিকেট তারা পাচ্ছে। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: স্যার সেটা কি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ফলো করা হচ্ছে বা আপনার এখান থেকে যারা ট্রেনিং নিচ্ছেন, আপনার এই সার্টিফিকেট কি বিদেশে গ্রহণযোগ্য?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: আচ্ছা, এনএসডিএ এই সিলেবাস তৈরি করার সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। সেই সময় এই কোর্সটা বা আমাদের এই শিক্ষাটা যেন সারা পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্য হয়, সেটার জন্য ছয়টা দেশের সিলেবাস নিয়ে এসেছিলাম। এটার মধ্যে এসেছিল জাপান, ফিলিপাইন, ইন্ডিয়া, দুবাই আর কানাডা সম্ভবত। এই সমস্ত দেশ থেকে ওদের সিলেবাসগুলো নিয়ে এসে প্রত্যেকটা সিলেবাসকে ডিটেলস স্টাডি করে যেন কোনো কিছু বাদ না যায়, সেভাবেই এই সিলেবাসটা তৈরি করা হয়েছে। যেটুকু স্কিল দরকার, সেই স্কিলের সবটুকুই কিন্তু এদের দেওয়া হচ্ছে।

আর সার্টিফিকেটের ভ্যালু ব্যাপারে যদি বলি, ফ্রাঙ্কলি যে আমাদের এই সার্টিফিকেটটা ইভেন আমাদের দেশে যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে যায়, এরাও হয়তো ইংল্যান্ডে গেলে তাদেরও কিন্তু ডাক্তারি করতে দেয় না। তাদের ওখানে একটা লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে হয়। অস্ট্রেলিয়াতেও সেইম। সারা বিশ্বেই এমন। সরকারি সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেও এখান থেকে পাস করলেও, সার্টিফিকেট তারা প্রথমেই স্বীকৃতি দেয় না। তবে বর্তমানে আশার কথা হলো যেটা যে, আমাদের দেশ থেকে যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা বিদেশে যায় অস্ট্রেলিয়া বলেন, ইংল্যান্ড বলেন বা পৃথিবীর যে কোনো দেশে যাক না কেন, ওখানে গিয়ে তারা হয়তো পড়তে যায়, পড়তে গিয়ে তারা তো প্রথমে গিয়া তাদের কিছু একটা কাজ করতে হয় এবং তারা কোনো না কোনো একটা জব করে। যেমন হয়তো রেস্টুরেন্টে কাজ করছে অথবা ড্রাইভ করছে অথবা শপিং সেন্টারের কাজ করছে। তো আমাদের এখান থেকে যাদের কেয়ার সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছে, তাদের ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে। 

বিদেশিরা যখন দেখে যে তার একটা কেয়ার সার্টিফিকেট আছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া একটা সার্টিফিকেট, তাহলে অফিসিয়ালি না করলেও তারা বুঝে যে হ্যাঁ এই ছেলেটা বা এই মেয়েটা কেয়ারগিভিং জানে। তখন তারা তাদের কেয়ার হোমে তাকে নিয়ে জব দেয়। অথবা কোনো প্রাইভেট হোমে তারা জব করতে পারে। তারপর তারা সার্টিফিকেট থ্রি বা ফোর ডিপ্লোমা করতে পারে। সার্টিফিকেট কোর্স করার সাথে অভিজ্ঞতা বা যদি কাজ পায়, তখন দেখা যায় যে, তাদের পিআরের আবেদনেরও যোগ্যতা তৈরি হয়ে যায়। আর মোর ওভার অন্য যে কোনো প্রফেশনের চাইতে কেয়ারগিভারদের কিন্তু স্যালারি বা সম্মান বা কাজের পরিবেশ এগুলো অনেক হাই, অনেক ভালো। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে আপনার ইনস্টিটিউশনে কত মাসব্যাপী এই ট্রেনিং চলে এবং টাকার অঙ্কটা কত? এরপর আমরা পাশাপাশি অন্য মানের প্রশ্নে আসব।

ডা. বাশিদুল ইসলাম: আমার এই প্রতিষ্ঠানটা একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, তবে সরকার অনুমোদিত। আর আমি যেহেতু কোনো ডোনার বা সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাই না, ফলে আমাকে ছোট্ট একটা কোর্স ফি নিতে হয়। প্রতিটি লেভেলে তিন মাস করে সময়, প্রতি কোর্সের জন্য লাগছে ২০ হাজার টাকা। দুই কোর্স করতে লাগবে ছয় মাস। টাকা লাগবে ৪০ হাজার। আমাদের এখানে যেসব ছেলেমেয়ে আসছে, এরা সাধারণত মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের। আর কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা না নিলে পরে একটা লেভেল কমপ্লিট করানো আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য খুব ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: শিক্ষাগত যোগ্যতা কী লাগে এই কোর্স করতে?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি পাস করলে কেয়ারগিভার কোর্স করার জন্য সে যোগ্য। তা সে যে বিভাগেই পড়ুক না কেন। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: এর বাইরেও ধরেন কেউ অনার্স করল বা মাস্টার্স করল, তারাও কি করতে পারেন এটা?

ডা. বাশিদুল ইসলাম: হ্যাঁ, ইদানীং কানাডা তে আপনি হয়তো শুনেছেন, আমারও শোনার কথা যে কানাডাতে ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে কানাডিয়ান গভর্নমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেয়ারগিভারদের অন-অ্যারাইভাল তারা কিন্তু পিআর দিচ্ছে। তো আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা অনেকেই আছে জব করছে, ইভেন সরকারি জব করছে তারাও একটা বেটার ফিউচারের জন্য তাদের ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা যেতে চায়। এ জন্য এখন আমাদের কাছে যারা আসছে, বর্তমানে অধিকাংশই চাচ্ছে তারা দেশের বাইরে সেটেল হবে। দেশের বাইরে চলে যাবে, যে কারণে ব্যাচেলর করা, মাস্টার্স করা, এমবিএ, বিবিএ করা ছেলেমেয়েরা কিন্তু আমাদের এখানে আসছে এবং তারা এই কোর্সটা করছে।

চলবে...

Logo