Logo
×

Follow Us

মতামত

চীনে ভাষা জানলে বাজিমাত, মানতে হবে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১৯:৩৭

চীনে ভাষা জানলে বাজিমাত, মানতে হবে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত
নাটোরের ছেলে জয় রায় ২০১৮সাল থেকে আছেন চীনে। বর্তমান আবাস চীনের গোয়াংডং প্রদেশে। চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর করেন। মাস্টার্স করেন চীনের প্রখ্যাত বেইজিং নরম্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে। পড়াশোনার পর চীনের গোয়াংডং প্রদেশে কর্মরত একটি স্কুলে। দীর্ঘ সময়ে চীনের নানা প্রদেশে থেকে, ঘুরে দেশটির মানুষের সাথে মিশে অর্জন হয়েছে নানা অভিজ্ঞতা। চীনে তার পড়াশোনার উদ্দেশে যাত্রার অভিজ্ঞতা, চীনে শিক্ষার্থীদের সংকট, পড়াশোনা করতে যেতে পারার সম্ভাবনা, স্কলারশিপের সুযোগসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মাইগ্রেশন কনসার্নের সাথে। জয় রায়ের সাথে কথা বলেছেন মাহবুব স্মারক। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: জয় রায়, মাইগ্রেশন কনসার্নের পক্ষ থেকে আজকের এই আয়োজনে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি কেমন আছেন?

জয় রায়: জি, আমি ভালো আছি। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আপনি কবে চীন যাওয়ার মনস্থির করলেন, সেটার পেছনের কারণ কী? বাংলাদেশ থেকে লোকে চীনে যেতে চায় তেমনটা খুব একটা দেখা যায় না। বরং আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়া যেতেই বেশি আগ্রহী। আপনি চীনকে কেন বেছে নিলেন?

জয় রায়: ২০১৭ সাল থেকেই আমি আসলে চাচ্ছিলাম দেশের বাইরে আসার জন্য। চীনে আমার এক বন্ধু ছিল। সে চীনে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর করছিল। আমি তার সাথে কথা বলি। সে বলছিল যে চায়না আসাটা খুব ইজি। কয়েকটা পেপার ওয়ার্ক করলেই চলে আসা যায়। তো আমি ভাবলাম ট্রাই করব। আমি মা- বাবাকে কনভিন্স করলাম। পরে অ্যাপ্লাই করে চীন চলে এসেছিলাম।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: কিন্তু প্রক্রিয়াটা কীভাবে করলেন, কোথায় পড়তে যাবেন, কোন ইউনিভার্সিটিতে, কোন সাবজেক্টে পড়তে আসলেন? কীভাবে সেটা সিলেক্ট করলেন? চায়নিজ ভাষা জানতেন কিনা?

জয় রায়: আমি যখন ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করছিলাম, তখন দেখলাম কয়েকটা ইউনিভার্সিটি এডমিশন দিচ্ছিল। আমি আন্ডারগ্রেডে এসেছিলাম। ইউনান ইউনিভার্সিটিতে আমি ব্যাচেলর করতে চাচ্ছিলাম বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডও ছিল কমার্স। ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে চীনের কুনমিং সিটিতে এটা হলো ইউনান প্রদেশে। সেখান থেকেই আমি আমার ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করি। তারপর আমি আমার মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করি বেইজিং নরম্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে। সেটা চীনের টপ টেন ইউনিভার্সিটির একটি। যখন আমি এই ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করি, সেটা ছিল চীনের সরকারের টাকায় মানে গভর্নমেন্ট ফান্ডেড। সেটাকে চায়না সিএসসি স্কলারশিপও বলে। কিন্তু অনার্সে সেটা ছিল পার্সিয়াল স্কলারশিপ। আমাকে কিছু টাকা পে করতে হতো।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আন্ডারগ্রেডে আপনার কত টাকা খরচ হলো?

জয় রায়: আন্ডারগ্রেডে টিউশন ফি আর একোমোডেশনের জন্য পে করতে হতো ৫ হাজার ইউয়ান। সেটা সেই সময় বাংলাদেশি টাকায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আন্ডারগ্রেডে পড়ার সময় দুই বছর আমি ওদের থেকে ৫ হাজার ইউয়ান করে স্কলারশিপ পাই। সেটা বেস্ট একাডেমিক রেজাল্টের জন্য। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা তো পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান। তাদের জন্য অনেক অপশন আছে। কিন্তু চীনে কেন যাবেন বলে আপনার মনে হয়।

জয় রায়: প্রথমত, চীন বাংলাদেশের খুব কাছের একটা দেশ। আমি যে প্রদেশটিতে আছি, সেখান থেকে আমার দেশে যেতে বিমানে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কাছাকাছি। আপনার যদি দেশে কোনো ইমার্জেন্সি হয়, আপনি দিনে দিনে দেশে এসে দিনে দিনে আবার চীনে চলে যেতে পারবেন। আবার টপ ইউনিভার্সিটির কথা যদি বলা হয়, তাহলে চীনের অনেক ইউনিভার্সিটি আছে, যেগুলো চীনের টপ ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশের কথা যদি বলি, দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো কিন্তু ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিংয়ে ২ হাজারের মধ্যেও নাই। আমি যেখানে ইউনান থেকে গ্র্যাজুয়েশন কম্প্লিট করি, সেটার র‍্যাঙ্কিং ছিল ৯০০-এর মতো। আর মাস্টার্স করি যে ইউনিভার্সিটি থেকে, সেটার র‍্যাঙ্কিং ২০০-এর মধ্যে। এখানে অনেক স্কলারশিপ পাওয়া যায় সহজে। তারা চায় বিভিন্ন দেশ থেকে ভালো স্টুডেন্টরা আসুক তাদের দেশে। ওদের কালচারটা অ্যাডাপ্ট করুক, চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজটা অ্যাডাপ্ট করুক। তাই তারা এ ধরনের স্কলারশিপ প্রোভাইড করে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: এই যে স্কলারশিপের কথা বলছেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে এই স্কলারশিপগুলোর খোঁজ পাবে, তারা কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জানবে?

জয় রায়: হ্যাঁ, এটা আসলে তত সোজা নয় যে, বাংলাদেশ থেকে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে স্কলারশিপ বের করে ফেলবেন। কারণ চায়নিজরা আসলে তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। ফলে চায়নিজ ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে হলে চায়নিজ ভাষা জানতে হয়। আর ভাষাটা না জানলে তখন ট্রান্সলেট করিয়ে নেওয়াটা অত সহজ নয়। তবে, চীনের উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশে অনেক এজেন্ট আছে। আমিও এখানে যখন এসেছিলাম, তখন একজন এজেন্টের সাহায্য নিয়েই এসেছিলাম। মাস্টার্স যখন ভর্তি হলাম, তখনো একজন এজেন্টের মাধ্যমে ভর্তির কাজে সাহায্য নিয়েছিলাম। কিন্তু এজেন্টের মাধ্যমে আসলে আমি এই স্কলারশিপের অফারটা পেয়েছি, যেটা আমার কাছে কম্পারিটেভলি বেটার মনে হয়েছিল।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: তার মানে এজেন্টের কাছে যেতেই হবে?

জয় রায়: না, যেতেই হবে তা না। তবে গেলে আপনি বেটার অফার পাবেন। তাছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে যত সহজে আপনি সমস্ত তথ্য পাচ্ছেন, চীনের ক্ষেত্রে সেটা অত সহজে হবে না।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: চীনে যাওয়ার আগে কি চায়নিজ ভাষাটা শিখেছিলেন? শিক্ষার্থী যারা চীনে যেতে চাইবে, তাদের আসলে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে?

জয় রায়: আমি যখন চায়না আসি, তখন আসলে আমি কিছুই জানতাম না। এমনকি ‘নি হাও’ মানে যে হ্যালো, এটাও আমি জানতাম না। এখানে আমি যখন আসি, আমার ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লাস প্রোভাইড করত চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার জন্য। প্রথম এক বছর আমাদের বেসিক চায়নিজ ভাষা শিখিয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে মানুষের সাথে কমিউনিকেট করতে করতে, বাইরে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে কিনতে ভাষার চর্চাটা হয়ে গেল। বেসিক তো আগে থেকেই ইউনিভার্সিটির কোর্সের মাধ্যমে হয়েছিল, প্র্যাকটিস করতে করতে বাকিটা ডেভেলপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে যারা আসবে, তারা যদি চায়নিজটা শিখে আসতে পারে, সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স আছে, সেখানে ভালো টিচার আছেন। শেখানে চায়নিজ শিখে কিন্তু এপ্লাই করতে পারে। আর সিএসসি স্কলারশীপের কথা যেটা বললাম,  সেটার জন্য চায়নিজ এম্বেসির মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবে। তাদের যদি চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজে প্রফিসিয়েন্সি থাকে, যদি ভালো এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে, তাহলে চায়নিজ অ্যাম্বাসির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করে চলে আসতে পারে। এর মাধ্যমে আসলে হেলথ কেয়ার ফ্রি, একোমোডেশন ফ্রি, নিয়মিত বৃত্তি পাবে। যদি ব্যাচেলর ডিগ্রি নিতে আসে, তবে ২৫০০ ইউয়ান; মাস্টার্স হলে মাসিক ৩০০০ ইউয়ান; পিএইচডি হলে ৩৫০০ করে পাবে। এর সাথে আরো থাকবে আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া। এছাড়া অনেক ধরনের স্কলারশিপ আছে চায়নাতে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: সে ক্ষেত্রে চায়নিজ ভাষা যদি জানা থাকে, তাহলে কি একজন শিক্ষার্থী ভালো স্কলারশিপ পেতে পারে বলছেন?

জয় রায়: অবশ্যই, কেউ যদি চায়নিজ ভাষা জানে, তার জন্য অনেক ধরনের স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। আমি যখন প্রথমবার ব্যাচেলর ডিগ্রিতে আসলাম, তখন আমার একাডেমিক রেজাল্ট ভালো ছিল না। আমার ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি ভালো ছিল না। ফলে আমি বেশ সন্দেহেই ছিলাম, আমি কি চায়না যেতে পারব আদৌ। ইচ্ছা তো সবার থাকে, আমি বাইরে যাব, আমি বাইরে গিয়ে পড়ালেখা করব। কোনো প্রফিসিয়েন্সি ছিল না। কিন্তু আমার এক বন্ধু আমাকে এজেন্ট পেতে সাহায্য করেছিল। এখানে এসে আমাকে ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করতে হয়েছিল। আগে যারা ভাষা শিখে আসেন, তারা এই ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে ভালো করেন। আমার তো তেমনটা ছিল না, ফলে শুরুর দিকে আমার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল। পরে অবশ্য আমি সেটা মেকাপ করে নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে আমি যখন মাস্টার্সের জন্য আবেদন করি, তখন আমার গ্র্যাজুয়েশনের রেজাল্ট ভালো হয়, চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজের প্রফিসিয়েন্সি ভালো হয়, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো হয়; যেসব কারণে আমি চায়না সরকারের স্কলারশিপ পাই।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: ভাষা ছাড়া আর কী ধরনের দক্ষতা থাকলে একজন শিক্ষার্থীর চীনে পড়তে যাওয়াটা সহজ হয় বা তার কাজে লাগে?

জয় রায়: চায়নায় দুইভাবে আপনি পড়াশোনা করতে পারেন– একটি চায়না ভাষায়, আরেকটি ইংরেজি ভাষায়। ইংরেজি মাধ্যমে আপনি যদি পড়তে চান, তাহলে আপনার আইইএলটিএস লাগবে। আর যদি চায়নিজ মাধ্যমে পড়তে চান, তাহলে আপনার লাগবে চায়নিজ এক্সাম রেজাল্ট, যাকে বলে এইচএসকে।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: আমরা আর একটি জিনিস জানতে চাই আপনার কাছে, সেটি হচ্ছে চীনে আসার পরে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে? জটিলতা বলতে বোঝাচ্ছি যে, কারণ বিদেশে গেলে সব ধরনের প্রস্তুতিই তো রাখতে হয়। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে, খাবার পছন্দ হচ্ছে না, অথবা ট্রান্সপোর্ট কোথায় কী করতে হবে সে জানে না। বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সও নাই অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স কাজ করে কিনা? কী ধরনের প্রতিকূলতায় পড়তে পারেন চীনে গেলে এবং সেগুলো কীভাবে কাটাতে হয়, সেগুলোর টোটকা বুদ্ধি আপনার কাছে জানতে চাই। 

জয় রায়: প্রথমেই যে প্রবলেমটা ফেস করতে হবে, এটা হলো ল্যাঙ্গুয়েজ। চীন এমন না যে সবাই ইংরেজি বলতে পারে। আপনি যদি ইংরেজি বলেনও, আপনার হয়তো যার সাথে কথা বলতেছেন সে ইংরেজি পারে না। হয়তো অল্প অল্প বুঝতে পারে। সেকেন্ড যে প্রবলেমটা ফেস করবেন, এটা হচ্ছে আপনার খাবার । চায়নিজ খাবার হয়তো শুনলে বলতে পারেন চায়নিজ খাবার এইটা কেমন হতে পারে। চায়নিজ খাবার বেশির ভাগই ওরা হচ্ছে বয়েল পরে খায় বা ওরা খুব কম মসলা ইউজ করে খাবার খায়। তো এটা আপনি যখন প্রথম আসবেন, আপনার জন্য নট ভেরি সুইটেবল। এটা আপনার আস্তে আস্তে সুইটেবল হবে। থার্ড যে প্রবলেম হবে, আপনি ফেসবুকসহ যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন, তা করতে পারবেন না। তবে একবার এলে ধীরে ধীরে তা মানিয়ে নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: সামগ্রিকভাবে যদি একটু বলেন, কোন কোন জিনিসগুলো বাংলাদেশি বা শিক্ষার্থীদের চীনে গিয়ে করা একদমই উচিত না। যাতে করে বাংলাদেশের বদনাম হয় অথবা ভিসা বাতিল হতে পারে, জটিলতা হতে পারে সেটা যদি একটু বলতেন?

জয় রায়: বাংলাদেশিদের কোন কাজটা করা উচিত না; আপনি  কোন ভিসাতে এসেছেন, আপনার উচিত ওই ভিসা টা মেইনটেইন করে কাজ করা। বাংলাদেশের মানুষ এখন যেটা বেশি করতেছে, ওদের আসলে উদ্দেশ্য থাকে গোয়াংডং প্রোভেন্স এ আসবে, চায়নাতে আসবে ওরা হংকং যাওয়ার চেষ্টা করে আসলে। প্রচুর পরিমাণে মানুষ ওরা অবৈধভাবে পোর্ট দিয়ে হংকং যাওয়ার চেষ্টা করে, ওখান থেকে আর আসে না। প্রচুর পরিমাণে মানুষ ধরাও পড়ে। ধরা পড়ে ওরা চায়নিজ প্রিজনের মধ্যে আছে। আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে, গিয়ে ওদের হেল্প করে, ওরা তো কিছু ভাষাও পারে না। ওই ট্রান্সলেট করার জন্য ওদের গিয়ে হেল্প করতে হয় যে আসলে ওদের পারপাস কী, মানে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হয়। আমি যখন মাঝেমধ্যেই চায়নার হোটেল-মোটেলে স্টে করি, পুলিশ চলে আসে। এসে আমাকে, আমার ভিসা চেক করে। কোথা থেকে এসেছে, কী কারণে হোটেলে স্টে করতেছি। তো আমি ওদের সাথে কথা বলি। তখন ওরা বলে যে প্রচুর পরিমাণে মানুষ এভাবে হংকং যাচ্ছে। আমি জাস্ট ভেরিফাই করার জন্য, চেক করার জন্য এসেছিলাম তুমি আসলে লিগ্যালি স্টে করতেছ নাকি এ জন্য। তো মানুষকে আমি এটা বলব যে আপনি যদি হংকংয়ে যেতে চান, আপনি লিগ্যাল ভিসাটা নিয়ে যান।

মাইগ্রেশন কনসার্ন: তার মানে আপনি বলছেন যে এ রকম জালিয়াতি প্রবণতা বাড়ছে চীনে?

জয় রায়: জি, এটা বাড়ছে বলতে, এটা আগে থেকেই হয়ে আসতেছে। কিন্তু আমরা চাই, এখন এই জিনিসটা স্টপ হোক। আসলে এতে বাংলাদেশেরই নাম খারাপ হয়। যখন আপনার সাথে কোনো চায়নিজ যদি খারাপ ব্যবহার করে, আমি বলব চায়নিজরা খারাপ। চায়নিজরা যদি আমাকে হেল্প করে, তাহলে আমি বলব, চায়নিজ মানুষরাই ভালো। তো আমি যদি কোনো খারাপ কাজ করি, তাহলে ওরা বলবে যে বাংলাদেশিরা খারাপ। এই জিনিসটা আমি চাই বন্ধ হোক। বাংলাদেশের মানুষ যেন রুলসগুলো ফলো করে, রুলস মেইনটেইন করে কাজ করে, যাতে দেশের বদনাম না হয়। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন: ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সময় দেওয়ার জন্য।

জয় রায়: আপনাকেও ধন্যবাদ।

Logo