Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিনিং শুরু

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিনিং শুরু

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন করে বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা এখন থেকে অভিবাসী এবং ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় "এন্টিসেমিটিক" (ইহুদিবিরোধী) কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করবে। এই সিদ্ধান্তটি দ্রুতই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে, বিশেষ করে এমন কিছু ইহুদি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে, যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং নজরদারির বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS) জানিয়েছে, এখন থেকে অভিবাসী এবং ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রিনিং করা হবে এবং যদি তারা "এন্টিসেমিটিক" কার্যকলাপে যুক্ত থাকেন, তবে তাদের অভিবাসন সুবিধা বা ভিসা আবেদন বাতিল করা হবে। এটির ফলে প্রাথমিকভাবে প্রভাবিত হবে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার আবেদনকারী, বিদেশি ছাত্রছাত্রী এবং তাদের সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যারা "এন্টিসেমিটিক" কার্যকলাপের সাথে যুক্ত।

গত বছর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর ফিলিস্তিন-সমর্থক বিক্ষোভগুলো আমেরিকাতে ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্ষোভগুলোকে ইহুদিবিরোধী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সহানুভূতির সাথে যুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু বিদেশি ছাত্রের ভিসা বাতিল করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সতর্ক করেছে, যদি তারা এসব বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন প্রদান করে, তবে তাদের উপর ফেডারেল তহবিল কাটা হতে পারে।

মুক্তবাচন সংস্থা "ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিভিজুয়াল রাইটস অ্যান্ড এক্সপ্রেশন" (FIRE) ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে "সেন্সরশিপের অফিসিয়াল রূপ" হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, "অভিবাসীদের সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ এবং তাদের মতপ্রকাশের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা, যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত এবং উন্মুক্ত আলোচনা প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে ভয় এবং নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি করছে।"

এছাড়া কিছু মানবাধিকার সংস্থা গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসলামোফোবিয়া এবং আরববিরোধী পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ ঘোষণা করেনি।

এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগ ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হলেও এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এক বড় সংকটের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এমন পদক্ষেপগুলো সাধারণ মানুষের জন্য নজরদারির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স 

Logo