কানাডা সরকার অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। এর অন্যতম হল ইমিগ্রেশন অফিসারদের ‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
খালিস্তানি বিতর্কের পর এবার ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ। ভারত ও কানাডার সংঘাতের আরও একটি নতুন বিষয় তৈরি হল। সে দেশে কর্ম এবং অধ্যয়নরত কয়েক লক্ষ ভারতীয় এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন।
কানাডা
সরকার গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। এর অন্যতম হল সীমান্ত আধিকারিকদের
‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’
বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এর ফলে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী
এবং সে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে বর্তমানে কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা
প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার!
প্রসঙ্গত,
২০২৩ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খুন হয়েছিলেন খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এই খুনের পিছনে নয়াদিল্লির
হাত রয়েছে। ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
তাঁর বক্তব্যে অনড় ছিলেন। এর পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। কানাডা সরকার কয়েকজন ভারতীয়
কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন। কূটনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের আবহে সে বছরের অক্টোবরে
ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরাতে বাধ্য হয় কানাডা সরকার। ভারতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাস
আর কনসুলেটগুলি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় দুই-তৃতীয়াংশ কর্মীও। এর পর থেকে ভারতীয় কর্মী
এবং পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। এ বার তা আরও কমার সম্ভাবনা তৈরি হল।
তথ্যসূত্র:
আনন্দবাজার অনলাইন – ২৩.০২.২০২৫
logo-1-1740906910.png)