যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান, মিয়ানমারসহ ১৯টি দেশের অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্বসহ সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার উদ্বেগকে কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলো ইউরোপীয় অঞ্চলের বাইরের। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত তাদের নাগরিকদের ওপর প্রযোজ্য হবে, যাদের ওপর গত জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি ফেডারেল এজেন্টদের বড় শহরে পাঠিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।
সরকারি স্মারকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় একজন নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হন। এ ধরনের ঘটনার পর অভিবাসীদের ওপর আরও কঠোর নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প সোমালি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জায়গা নেই।
৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। জুনে এসব দেশের ওপর প্রায় পুরোপুরি প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তালিকার বাকি দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। এরা জুনের আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, উল্লিখিত ১৯ দেশের অভিবাসীদের সব প্রক্রিয়াধীন আবেদন স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি তাদের আরো কঠোর পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এতে সম্ভাব্য সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা-সংক্রান্ত ঝুঁকি মূল্যায়ন করা যায়।
এদিকে নিউ ইয়র্ক সিটির আটজন অভিবাসনবিষয়ক বিচারককে একসঙ্গে চাকরিচ্যুত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তারা লোয়ার ম্যানহাটনের ২৬ ফেডারেল প্লাজায় কর্মরত ছিলেন। চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আমিয়েনা এ খান চিফ ইমিগ্রেশন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ইউনিয়ন অ্যান্ড জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের স্বাক্ষরিত নথিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ইমিগ্রেশন বেঞ্চ সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইমিগ্রেশন জাজেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
logo-1-1740906910.png)