কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি ও সিটিজেনশিপ বিভাগ (IRCC) ঘোষণা করেছে যে ২০২৬ সালে প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রামের (PNP) মাধ্যমে অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হবে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রদেশগুলোতে অভিবাসন ৬৬% বৃদ্ধি পাবে।   

পিএনপি হলো কানাডার একটি বিশেষ অভিবাসন পথ, যেখানে প্রতিটি প্রদেশ ও টেরিটরি তাদের নিজস্ব শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশি কর্মী ও পরিবারকে মনোনয়ন দেয়। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা পরে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।

কানাডায় বর্তমানে শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, নির্মাণ, প্রযুক্তি, কৃষি ও পরিবহন খাতে কর্মীর চাহিদা বেশি। প্রদেশগুলো তাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী বেছে নিতে পারে। এ জন্যই পিএনপিকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে।  

আইআরসিসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে প্রদেশগুলোকে আরো বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে, যাতে তারা স্থানীয় অর্থনীতি ও জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।  

২০২৫ সালে প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার জন অভিবাসী কানাডায় এসেছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৬ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার জনে। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ৬৬% বৃদ্ধি।  

প্রতিটি প্রদেশ তাদের নিজস্ব অভিবাসন কৌশল তৈরি করছে। যেমন:  

- অন্টারিও প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি কর্মী আনতে চায়।  

- ব্রিটিশ কলাম্বিয়া নির্মাণ ও পরিবহন খাতে অভিবাসী বাড়াতে চায়।  

- আলবার্টা কৃষি ও জ্বালানি খাতে দক্ষ জনশক্তি আনতে মনোযোগ দিচ্ছে।  

- ম্যানিটোবা ও সাসকাচুয়ান পরিবার পুনর্মিলন ও কৃষি খাতে অভিবাসন বাড়াতে চায়।  

এই বৃদ্ধি অভিবাসীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করবে। যারা কানাডায় কাজ, পড়াশোনা বা স্থায়ী বসবাসের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য পিএনপি হবে সবচেয়ে কার্যকর পথ। বিশেষ করে যারা এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেমে কম সিআরএস স্কোরের কারণে আমন্ত্রণ পাননি, তারা প্রদেশের মনোনয়ন পেলে সহজেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন বৃদ্ধি কানাডার অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে। নতুন অভিবাসীরা শ্রমবাজারে শূন্যস্থান পূরণ করবে, কর রাজস্ব বাড়াবে এবং জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখবে। কানাডার অনেক প্রদেশে জন্মহার কমে যাওয়ায় অভিবাসন এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।