যুক্তরাষ্ট্রের ৮টি প্রধান বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সংকটের কারণে। ৭ নভেম্বর দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বিমান চলাচলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংবাদ প্রকাশ করে। 

নিউ ইয়র্ক, আটালান্টা, শিকাগো, লাস ভেগাস, ডেনভার, ফোর্ট লডারডেল, মিয়ামি এবং অরল্যান্ডো; এই আটটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হয়েছে। বিশেষ করে নিউ ইয়র্কের লা গার্ডিয়া বিমানবন্দরে সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হয়।

এফএএ জানিয়েছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিয়োগ বন্ধ থাকায় এখন জনবল ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এফএএ জানিয়েছে, তারা নতুন নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে।

বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা কোনো সঠিক তথ্য পাচ্ছি না, শুধু অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে বারবার এ ধরনের সমস্যা যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ব্যবসায়িক ভ্রমণ, চিকিৎসা ও জরুরি যাত্রায় বিলম্বের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছেন অনেকেই।

এফএএ যাত্রীদের পরামর্শ দিয়েছে, তারা যেন নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ফ্লাইটের সর্বশেষ তথ্য যাচাই করেন এবং প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এই সংকট কতদিন চলবে তা নিশ্চিত না হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।