Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

কানাডার কুইবেকে অভিবাসন কমছে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২০

কানাডার কুইবেকে অভিবাসন কমছে

কানাডার কুইবেক প্রদেশ আবারো তাদের অভিবাসন কর্মসূচিতে বড় ধরনের কাটছাঁট ঘোষণা করেছে। ২০২৫ সালের নভেম্বরের এই সিদ্ধান্তে প্রদেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী বিদেশিদের জন্য সুযোগ আরো সীমিত হয়ে পড়ছে। কুইবেক সরকার জানিয়েছে, তারা আগামী বছর অভিবাসন সংখ্যা কমিয়ে আনবে এবং কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ বন্ধ করবে।

সিআইসি নিউজ বলছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালে কুইবেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৫০০ জন অভিবাসীকে অনুমতি দেওয়া হবে। অথচ ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের বেশি। এর ফলে প্রায় ১৫ হাজার জনের কম অভিবাসী কুইবেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কুইবেক সরকার ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার যুক্তি দেখিয়েছে। তারা চায়, ফরাসি ভাষাভাষী অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ুক এবং প্রদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় থাকুক।

বিশেষ করে যেসব আবেদনকারী ফ্রান্স, বেলজিয়াম বা আফ্রিকার ফরাসিভাষী দেশ থেকে আসেন, তাদের জন্য সুযোগ কিছুটা বাড়ানো হবে। তবে যেসব আবেদনকারী ফরাসি ভাষায় দক্ষ নন, তাদের জন্য কুইবেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে। এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কুইবেক সিলেকশন সার্টিফিকেট (CSQ) প্রাপ্তদের ওপর, যারা ফেডারেল পর্যায়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেন।

এছাড়া কুইবেক সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা কিছু নির্দিষ্ট অভিবাসন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু পাইলট প্রোগ্রাম এবং নির্দিষ্ট পেশাজীবীদের জন্য চালু করা বিশেষ স্কিম। ফলে যারা ইতোমধ্যে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদন করার পরিকল্পনা করছিলেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় ধাক্কা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কুইবেকের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ প্রদেশটিতে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে এবং অভিবাসীরা সেই ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যও কুইবেকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ কমে যাবে, যা ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী আগমনে প্রভাব ফেলতে পারে।

এই পরিবর্তনের ফলে যারা কুইবেকে অভিবাসনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের এখন আরো সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফরাসি ভাষায় দক্ষতা অর্জন এবং বিকল্প প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি।

Logo