এ যেন এক তরুণ ম্যাজিশিয়ানের গল্প, যিনি তার কথা, জীবনের গল্প দিয়ে জাদু করেছেন নিউ ইয়র্কবাসীর, ইতিহাস বদলে দিয়েছেন নাক উঁচু মার্কিনিদের! নাম তার জোহরান মামদানি! কী জানি আমরা তার সম্পর্কে? চলুন জেনে আসি মামদানির ১০টি ইন্টারেস্টিং অজানা তথ্য, যা শুনে আপনি বলবেন- "ওয়াও!"
জন্ম তান উগান্ডায়! ১৮ অক্টোবর ১৯৯১ সালে মামদানি জন্ম নেন কাম্পালায়, উগান্ডার রাজধানীতে।
বাবা-মা দুজনই বিখ্যাত! তার মা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী মীরা নায়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক। তার সালাম বোম্বে সিনেমাটি বিদেশি ক্যাটাগরিতে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। বাবা মাহমুদ মামদানি একজন উগান্ডা-ইন্ডিয়ান গবেষক, লেখক ও শিক্ষাবিদ।
সাত বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে আসেন। তিনি বলেন, "এই শহরই আমার ঘর!" স্কুলজীবন শুরু ব্রঙ্কস হাই স্কুল অব সায়েন্সে। তারপর পড়েছেন বোডোইন কলেজে, যেখানে তিনি রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে তোলেন।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং সমাজতন্ত্রী রাজনীতিতে বিশ্বাসী মামদানি। ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য তিনি।
এবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো অভিবাসী কিংবা কোনো মুসলিম হিসেবে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। একই সাথে দুই রেকর্ড, চিন্তা করা যায়!
তার স্ত্রী রামা দুয়াজি একজন সিরিয়ান মুসলিম সমাজকর্মী। পেশায় একজন চিত্রশিল্পী। এ বছরই তারা বিয়ে করেন।
জোহরান মামদানি একজন র্যাপার, যিনি ‘Mr. Cardamom’ নামেই জনপ্রিয় ছিলেন একসময়। তার র্যাপ গানগুলোতে ছিল অভিবাসন, খাদ্য এবং দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতি নিয়ে। নানি নামে একটি গান আছে, যা আসলে তার দাদিকে নিয়ে লেখা। এছাড়া চাট মাসালা নামেও তার একটি জনপ্রিয় গান আছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানে জনগণের সেবা। তার প্রচারণা ছিল একেবারে শেকড় থেকে শেকড়ে।
মামদানি এখন তরুণদের আইকন! বিশ্বজুড়ে তরুণরা তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
এই ছিল মামদানির গল্প! এমন নেতাই তো বদলে দিতে পারে শহরের চেহারা! শুনতে থাকুন, জানতে থাকুন; কারণ, পরবর্তী গল্পে আসছে আরো চমক!
logo-1-1740906910.png)