Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

‘ওদের দেশ থেকে তাড়াবই!’ ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন বার্তা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১১

‘ওদের দেশ থেকে তাড়াবই!’ ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন বার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তার ‘আক্রমণাত্মক’ অভিবাসন নীতির ফলে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এক বন্দির মৃত্যু এবং দু’জন আহত হওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।

৩ নভেম্বর মার্কিন চ্যানেল সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) যা করছে, তা যথেষ্ট নয়। অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াতে আরো কঠোর হতে হবে”। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “এই লোকগুলোকে দেশ থেকে তাড়াতেই হবে”।

সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক নোরা ও’ডোনেল ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, “অভিবাসন দপ্তরের অভিযান মাত্রা ছাড়িয়েছে। সন্দেহের বশে মানুষকে হেনস্তা, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া, গাড়ির কাচ ভাঙা- আপনি কি এসব সমর্থন করেন?” ট্রাম্প উত্তর দেন, “আমার মতে, ওরা এখনো তেমন কিছুই করেনি”!

তিনি অভিযোগ করেন, পূর্বতন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জো বাইডেনের সময় নিযুক্ত ‘উদারমনস্ক’ বিচারকদের কারণে এতদিন অভিবাসন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাম্পের মতে, এই বিচারকদের কারণে অবৈধ অভিবাসীরা সুবিধা পেয়েছে।

ট্রাম্প আরো বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মদতেই পশ্চিমা দেশগুলোতে অনুপ্রবেশ চলছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং অভিবাসন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করেন।

এই সাক্ষাৎকারটি সিবিএসের সঙ্গে ট্রাম্পের দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম প্রকাশ্য আলোচনা। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্ক সভা আয়োজন নিয়ে সিবিএসের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ট্রাম্প, যার নিষ্পত্তিতে ১৬ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য অভিবাসন নীতিতে আরো কঠোরতা আনবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ বাড়াবে। ইতোমধ্যে অভিবাসন দপ্তরের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে সন্দেহের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট- "আমেরিকা শুধু আমেরিকানদের জন্য”। তবে এই নীতির ফলে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

Logo