Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর থাকার সময় কমলো

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৫

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর থাকার সময় কমলো

যুক্তরাজ্য সরকার ২০২৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য গ্র্যাজুয়েট ভিসার সময়সীমা কমিয়ে ১৮ মাসে নামিয়ে আনছে। বর্তমানে এই ভিসায় একজন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে ২৪ মাস যুক্তরাজ্যে থেকে চাকরি খুঁজতে পারেন। নতুন নিয়মে সেই সময়সীমা ৬ মাস কমে যাচ্ছে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Home Office) থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিবাসন নীতিতে ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নতুন নিয়ম কার্যকর হবে ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। অর্থাৎ, যারা ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষ করবেন, তারা এখনকার মতো ২ বছর নয়, বরং ১৮ মাস সময় পাবেন চাকরি খোঁজার জন্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থীর পরিকল্পনায় প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, অনেকেই যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার পর কিছুদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের আশায় যান। সময়সীমা কমে যাওয়ায় তারা হয়তো সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

এছাড়া এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমন কমিয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারত, চীন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে পড়তে যান। তাদের অনেকেই পড়াশোনার খরচ মেটাতে চাকরি খোঁজার সময়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, বরং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও গবেষণায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সময়সীমা কমিয়ে দিলে যুক্তরাজ্য তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারাতে পারে।

তবে সরকারের যুক্তি ভিন্ন। তারা বলছে, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থায় আরো নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে এবং স্থানীয় নাগরিকদের চাকরির বাজারে অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে।

এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের এখন আরো পরিকল্পিতভাবে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষ করে যারা পড়াশোনার পর কাজ করে স্থায়ীভাবে বসবাসের চিন্তা করছেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় পরিবর্তন।

এই পরিবর্তন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্যও একটি নতুন বাস্তবতা। এখন দেখার বিষয়, এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে ভবিষ্যতের শিক্ষার্থী আগমনে এবং যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক শিক্ষার বাজারে অবস্থানে।

Logo