কানাডায় ঢুকতে গেলে ইমিগ্রেশনে কী প্রশ্ন করবে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৪

কানাডায় স্টাডি বা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে প্রবেশ করতে গেলে বিমানবন্দরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও যাচাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়। নতুন অভিবাসীদের জন্য এটি হতে পারে একটু জটিল, তবে প্রস্তুতি থাকলে প্রক্রিয়াটি সহজ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা যায়। সিইসি নিউজ এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
কী কী কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে:
- ভিসা অনুমোদনের চিঠি (POE Letter)
- পাসপোর্ট ও বৈধ ভিসা স্ট্যাম্প
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিশন লেটার (স্টাডি পারমিটের জন্য)
- কাজের অফার লেটার (ওয়ার্ক পারমিটের জন্য)
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্কলারশিপ ইত্যাদি)
- হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও বাসস্থানের তথ্য (যদি থাকে)
সীমান্তে কীভাবে যাচাই হয়:
কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (CBSA) কর্মকর্তারা আপনার কাগজপত্র যাচাই করবেন এবং আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। তারা নিশ্চিত হতে চান আপনি সত্যিই পড়তে বা কাজ করতে এসেছেন এবং আপনার পরিকল্পনা কানাডার নিয়ম অনুযায়ী।
কী ধরনের প্রশ্ন হতে পারে:
- আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে পড়বেন বা কাজ করবেন?
- কতদিন কানাডায় থাকবেন?
- আপনার খরচ চালানোর জন্য কী ব্যবস্থা আছে?
- পূর্বে কখনো কানাডায় এসেছেন কি?
যদি সবকিছু ঠিক থাকে, CBSA অফিসার আপনার স্টাডি বা ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করবেন। এটি একটি কাগজে প্রিন্ট করা অনুমোদন, যা আপনার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হয় না, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ:
- সব কাগজপত্র হাতে রাখুন, মোবাইলে স্ক্যান করে রাখলেও ভালো।
- শান্ত ও স্পষ্টভাবে উত্তর দিন।
- ভুল তথ্য দেবেন না। এতে ভিসা বাতিল হতে পারে।
- যদি কোনো সমস্যা হয়, CBSA অফিসারের নির্দেশনা মেনে চলুন।
এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে আপনি কানাডায় বৈধভাবে পড়াশোনা বা কাজ শুরু করতে পারবেন। প্রস্তুতি ও সতর্কতা থাকলে সীমান্তে প্রবেশ হবে সহজ ও নিরাপদ।