কানাডার অস্থায়ী বিদেশি কর্মী কর্মসূচিতে সংস্কারের দাবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩২
কানাডার অস্থায়ী বিদেশি কর্মী কর্মসূচি (Temporary Foreign Worker Program) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি এই কর্মসূচি বাতিলের দাবি তুলেছেন বিরোধী নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ, যিনি এর ফলে যুব বেকারত্ব বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন। অর্থনীতিবিদরা সরাসরি এই কর্মসূচিকে দায়ী না করলেও তারা এর কিছু নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন।
সমস্যা ১: কম মজুরি, কম উদ্ভাবন
এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিককে স্থানীয়দের সমান মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক সময় কম মজুরিতে কাজ করানো হয়। এতে করে দীর্ঘমেয়াদে মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে যায় এবং প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনে বিনিয়োগও কম হয়।
সমস্যা ২: ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা
বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার সঙ্গে যুক্ত থাকায় তারা সহজে চাকরি পরিবর্তন করতে পারেন না। এতে করে নিয়োগকর্তার ওপর নির্ভরতা বাড়ে এবং অনেক সময় শোষণের শিকার হন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, কাগজে নির্ধারিত মজুরি পেলেও বাস্তবে তার একটি অংশ ফেরত দিতে হয়।
সমস্যা ৩: নীতির অস্থিরতা
এই কর্মসূচি নিয়ে সরকারের অবস্থান বারবার বদলেছে। কখনো শিথিল, কখনো কঠোর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি স্থায়ী ও স্বচ্ছ নীতিমালা দরকার, যা বারবার পরিবর্তন না হয়।
সম্ভাব্য সমাধান:
১. ধাপে ধাপে বন্ধ করা: কম দক্ষ কর্মীদের জন্য কর্মসূচি ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।
২. সরকারের সক্রিয় ভূমিকা: কোন প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচি ব্যবহার করতে পারবে, তা নির্ধারণে সরকারের আরো কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
৩. ওপেন পারমিট চালু: বিদেশি কর্মীদের ওপেন ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হলে তারা চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন, যা শোষণ কমাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কর্মসূচি সংস্কার না করলে তা শ্রমিকদের ক্ষতি করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের উৎপাদনশীলতাও কমিয়ে দেবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে কর্মসূচি বন্ধ হলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও মৌসুমি খাতে। তাই প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।
তথ্যসূত্র: সিবিসি নিউজ
logo-1-1740906910.png)