Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ চালু

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৪৯

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ চালু

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নতুন একটি ফি চালু হচ্ছে ১ অক্টোবর থেকে। ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ নামের এই অতিরিক্ত চার্জ ২৫০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০,৪১৮ টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় এই ফি কার্যকর হচ্ছে। এটি সব নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে পড়াশোনা, ভ্রমণ বা কাজ করতে যাচ্ছেন।

এই ফি ভিসা ইস্যুর সময় দিতে হবে, তবে যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে, তাদের এই ফি দিতে হবে না। ভিসা ফি বাদে এটি একটি অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে যুক্ত হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাওয়ার মোট খরচ দাঁড়াবে ৪৪২ ডলার (প্রায় ৫৩,৭৮০ টাকা), যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ভিসা ফিগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, এই ফি মওকুফের কোনো সুযোগ নেই এবং ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মিলিয়ে তা আরো বাড়ানো হতে পারে। সেক্রেটারি অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি চাইলে এই ফি বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধাক্কা। উচ্চ টিউশন ফি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং নতুন এই চার্জ মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার আগ্রহ কমে যেতে পারে। যেখানে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি করছে।

অলট্যুর নামের একটি বৈশ্বিক ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রেসিডেন্ট গ্যাবে রিজি বলেন, “ভ্রমণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা বাড়লে ভ্রমণকারীর সংখ্যা কমে যায়। গ্রীষ্ম মৌসুম শেষে এই ফি আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

মার্কিন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা ৩.১ শতাংশ কমেছে, যা টানা পাঁচ মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, ‘ইন্টেগ্রিটি ফি’ শব্দটি নিজেই বিতর্কিত। আন্তর্জাতিক আবেদনকারীদের সঙ্গে ‘সততা’ বা ‘অখণ্ডতা’ জুড়ে দেওয়ার মাধ্যমে একধরনের অবিশ্বাসের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবদানকারী নয়, বরং কেবল অর্থ প্রদানকারী গ্রাহক হিসেবে দেখছেন।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। অভিবাসন নীতিতে এমন পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

Logo