Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় ফি বাড়ানোতে কোন দেশের লাভ?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪০

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় ফি বাড়ানোতে কোন দেশের লাভ?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষ কর্মী ভিসা এইচ-১বির আবেদনে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেছেন। এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। কারণ গত বছর এই ভিসার ৭১ শতাংশই পেয়েছেন ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীরা। তবে এই নীতির ফলে কিছু দেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি দক্ষ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। অ্যামাজন, গুগল, মেটা, মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ দেয় এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে। নতুন ফি আরোপে এসব কোম্পানির জন্য বিদেশি মেধা আনতে ব্যয় বেড়ে যাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রে ‘মেধাসংকট’ সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ও এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) খাতে দক্ষতা বাড়াতে আগ্রহী তারা যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে।

যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শীর্ষ দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য ভিসা ফি বাতিলের প্রস্তাব বিবেচনা করছেন। ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্স’ গঠন করে দেশটি বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তিবিদদের আকর্ষণের চেষ্টা করছে।

চীন: চীন আগামী ১ অক্টোবর থেকে ‘কে-ভিসা’ চালু করতে যাচ্ছে, যা এসটিইএম খাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এই ভিসায় চাকরি ও গবেষণার পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগও থাকবে।

দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ ক্যাং হুন–সিক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী বাজেটে এআই ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ বরাদ্দের পরিকল্পনাও রয়েছে।

কানাডা: কানাডা ইতোমধ্যে স্থায়ী বসবাসের আবেদনকারীদের জন্য ন্যূনতম স্কোর কমিয়েছে। ২০২৩ সালে চালু হওয়া একটি ভিসা প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসাধারীদের তিন বছর পর্যন্ত কানাডায় স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্প আবার চালুর চিন্তাভাবনা চলছে।

বিশ্বের প্রযুক্তি খাতের প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা ফি নীতি একদিকে যেমন ভারতকে বিপদে ফেলেছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলোকে নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়- এই দেশগুলো কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

Logo