জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে “শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ” হিসেবে তুলে ধরে বলেন, “এটা আমাদের স্বর্ণযুগ। অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ প্রায় শূন্য। কেউ অবৈধভাবে এলে তাকে জেল অথবা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে”।

একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সাত মাসের মধ্যেই সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান ও ইরান-ইসরায়েল সংঘাত।

ট্রাম্প বলেন, “আর কোনো প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বা দেশ এমন অর্জনের ধারেকাছেও নেই।" জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ কোনো সহযোগিতা করছে না, তারা কিছুই করতে পারছে না।"

ভাষণ দিতে গিয়ে টেলিপ্রম্পটার কাজ না করায় ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, “তাহলে যা বলব, তা মন থেকেই বলব”। তার বক্তব্যে উঠে আসে অভ্যন্তরীণ সংকট, সীমান্ত নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নানা দিক।

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা দেশগুলোর সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, “তারা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে।" ভারত, চীন এবং কয়েকটি ন্যাটো দেশকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করবে।"

মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের বন্ধু দেশ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ভালো হয়েছে”। তিনি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্পের ভাষণে অভিবাসন, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে তার প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্টভাবে উঠে আসে। জাতিসংঘের মঞ্চে তার বক্তব্য বিশ্বনেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল