বর্তমান এইচ-১বি ভিসাধারীরা নিরাপদ; জানাল হোয়াইট হাউস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮

যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসার ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন ১ লাখ ডলারের বার্ষিক ফি বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে এইচ-১বি ভিসার জন্য প্রতি বছর ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি আরোপের ঘোষণা দেন। এতে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা ও পরামর্শ খাতে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বিদেশি পেশাজীবীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুন তথ্য অনুযায়ী, যারা ইতোমধ্যে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন, তাদের এই ফি দিতে হবে না।
এইচ-১বি ভিসা সাধারণত তিন থেকে ছয় বছরের জন্য দেওয়া হয় এবং প্রতি বছর প্রায় ৮৫ হাজার জন এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পান। এর মধ্যে ২০ হাজার ভিসা উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে ভারতীয় নাগরিকদের ওপর। ২০২৪ সালে এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশ পেয়েছেন ভারতীয়রা। ফলে নতুন আবেদনকারীদের জন্য এই ফি বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এই ফি শুধু নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ যারা ইতোমধ্যে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের বার্ষিক ফি দিতে হবে না। এই সিদ্ধান্ত কিছুটা স্বস্তি দিলেও ভবিষ্যতে ভিসা নবায়ন বা গ্রিন কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুন ফি কাঠামো প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কাউন্সিলের নীতিনির্ধারক অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক এই ফি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “শুধু কংগ্রেসই আবেদন ফি নির্ধারণের ক্ষমতা রাখে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে টেকসই নয়।”
এদিকে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী নিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশটির অবস্থান দুর্বল করতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স