মার্কিন নয়া শুল্কনীতিতে বেকার ৮০০০ মেক্সিকান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪

মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর সিউদাদ আকুনায় হাজার হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে বন্ধ রপ্তানিমুখী কার্যক্রম। একসময় এই শহরটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিমুখী পোশাক ও ইলেকট্রনিকস উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চীন ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করলে উৎপাদন খাতে বড় ধাক্কা লাগে।
স্থানীয় কারখানাগুলো, বিশেষ করে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির জন্য পণ্য তৈরি করত, ব্যয়বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় বা অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়। ফলে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক চাকরি হারান, যাদের বেশির ভাগই নারী এবং নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসা।
শ্রমিকরা জানান, হঠাৎ করে চাকরি হারানোয় তাদের পরিবারে খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। ৩২ বছর বয়সী মারিয়া গার্সিয়া বলেন, “আমার তিন সন্তান আছে। আগে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতাম, এখন কোনো আয় নেই।”
স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই শুল্কনীতি শুধু মেক্সিকোর নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অঞ্চলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে উৎপাদন ও সরবরাহ চেইন গভীরভাবে সংযুক্ত। অনেক মার্কিন কোম্পানি এখন ভিয়েতনাম বা ভারতমুখী হচ্ছে, যেখানে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম।
মেক্সিকোর সরকার এই সংকট মোকাবিলায় পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা চালু করেছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনে পড়ে এবং এই ঘটনা তারই একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
এই পরিস্থিতি সীমান্ত অঞ্চলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা এখন নতুন জীবিকার সন্ধানে শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স