
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শ্রমবাজার এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে যে কঠোরতা এনেছিল, তার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়কালে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন সীমিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক ভিত্তিক ভিসা কমানো, শরণার্থী গ্রহণে কড়াকড়ি এবং কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসার সংখ্যা হ্রাস। এসব নীতির ফলে বৈধ অভিবাসনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ, যা ২০১৬ সালের ১০ লাখের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে দক্ষ কর্মী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্যসেবায় অভিজ্ঞ অভিবাসীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দেশটির বিভিন্ন খাতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমেছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ০.৩%, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অভিবাসন কমে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে সামাজিক নিরাপত্তা, পেনশন ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসীরা শুধু শ্রমশক্তি নয়, উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা কার্যক্রম এবং কর প্রদানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অভিবাসন হ্রাসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ কাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমান প্রশাসন কিছু নীতিগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে, তবে ট্রাম্প-পরবর্তী সময়েও অভিবাসন নীতিতে স্থায়ী পরিবর্তন আসেনি। রাজনৈতিক বিভাজন এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে অভিবাসন ইস্যুটি এখনো বিতর্কিত।
তথ্যসূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস