Logo
×

Follow Us

উত্তর আমেরিকা

৬ ঘণ্টার নোটিসেই অবৈধ অভিবাসীদের যে কোনো দেশে পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৫

৬ ঘণ্টার নোটিসেই অবৈধ অভিবাসীদের যে কোনো দেশে পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

মাত্র ছয় ঘণ্টার নোটিসে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা এক স্মারকে এ কথা জানিয়েছেন।

আইসিইর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লায়ন্সের সই করা ৯ জুলাইয়ের এক স্মারকে বলা হয়েছে, সাধারণত অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর আগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় আইসিই।

তবে ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ এই সময়সীমা কমিয়ে ছয় ঘণ্টা করা যেতে পারে, যদি ওই ব্যক্তি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। এমনটি বলা হয়েছে স্মারকে।

এতে আরো বলা হয়, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে লিখিত নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা কাউকে নির্যাতন করবে না কিংবা নিপীড়ন করবে না, সেসব দেশেই অভিবাসীদের পাঠানো যাবে এবং এর জন্য নতুন করে কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া চালানোর প্রয়োজন হবে না।

আইসিইর নতুন এই নীতির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে দ্রুত অভিবাসী বিতাড়নের পথে যেতে পারে।

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে এমন বিতাড়ন কার্যক্রমের ওপর নিম্ন আদালতের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সুদানে পাঠিয়ে দেয় কিউবা, লাওস, মেক্সিকো, মিয়ানমার, সুদান ও ভিয়েতনামের আটজন অবৈধ অভিবাসীকে।

রয়টার্স জানায়, এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকার পাঁচটি দেশের- লাইবেরিয়া, সেনেগাল, গিনি-বিসাউ, মৌরিতানিয়া ও গ্যাবন; প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছে, যেন তারা অন্যান্য দেশের অভিবাসীদেরও গ্রহণ করে।

তবে এই উদ্যোগের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যেসব দেশে অভিবাসীদের পাঠানো হচ্ছে, সেখানে তারা সহিংসতা, নিঃসঙ্গতা ও ভাষাগত সংকটে পড়তে পারেন। কোনো পূর্বপরিচয় বা সামাজিক বন্ধন ছাড়াই অপরিচিত দেশে পাঠিয়ে দেওয়া ‘নির্মম ও অমানবিক’।

“ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন লিটিগেশন অ্যালায়েন্স’-এর আইনজীবী ট্রিনা রিয়েলমুটো বলেন, “এই নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষার কোনো নিশ্চয়তা নেই।”

এর আগে ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় স্বল্প পরিসরে তৃতীয় দেশে বহিষ্কারের এমন প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন। সে সময় এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের কিছু অভিবাসীকে গুয়েতেমালায় পাঠানো হয়েছিল।

অন্যদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ব্যাপারে মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। কারণ, এসব দেশে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চালানো কঠিন ছিল।

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Logo