মার্কিন প্রশাসন পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এক নতুন ভিসা কর্মসূচির আওতায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিতে চাচ্ছে, যার নাম ‘ট্রাম্প কার্ড’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার প্রশাসন পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এক নতুন ভিসা কর্মসূচির আওতায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিতে চাচ্ছে, যার নাম ‘ট্রাম্প কার্ড’। ১১ জুন এক ঘোষণায় তিনি জানান, এই কর্মসূচিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনের জন্য একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।

ট্রাম্পকার্ডডটগভ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনকারীরা তাদের নাম, অঞ্চল, ই-মেইল ঠিকানা ও তারা ব্যক্তি না ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আবেদন করছেন, তা উল্লেখ করে নিবন্ধন করতে পারবেন, যাতে ‘অ্যাক্সেস চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে’ তারা অবহিত হন।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘হাজার হাজার মানুষ ফোন করে জানতে চাইছেন, কীভাবে তারা এই সুন্দর পথচলার যাত্রায় অংশ নিতে পারেন, যা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ ও বাজারে প্রবেশাধিকার পাওয়ার যাত্রা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রথম এই ভিসা পরিকল্পনার কথা বলেন, যেখানে তিনি জানান, তার প্রশাসন এমন এক ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করবে, যা আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস, কাজ ও নাগরিকত্বের সুযোগ দেবে। ওই সময়ে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘তারা ধনী হবে, সফল হবে, অনেক অর্থ ব্যয় করবে, অনেক কর দেবে এবং অনেক মানুষকে চাকরি দেবে।

এপ্রিল মাসে এয়ার ফোর্স ওয়ানের ভেতরে সাংবাদিকদের তিনি এই কার্ডের একটি নমুনা দেখান- একটি সোনালি রঙের কার্ড, যাতে ট্রাম্পের মুখাবয়ব ছাপা।

এই ‘ট্রাম্প কার্ড’ বিদ্যমান ইবি-৫ অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের বিকল্প হিসেবে চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইবি-৫ ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়, যদি আবেদনকারী কমপক্ষে ১০ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেন অথবা নির্ধারিত আর্থিকভাবে দুর্বল এলাকায় আট লাখ ডলার বিনিয়োগ করেন।

বর্তমান অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী, বৈধ স্থায়ী বাসিন্দারা পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন, যদি তাদের ইংরেজির মৌলিক জ্ঞান থাকে এবং তারা ‘ভালো চরিত্রের’ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘মূলনীতি ও আদর্শের প্রতি আনুগত্য’ দেখাতে পারেন।

তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ