২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। এ উপলক্ষে একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়েছে- “টিকিট কাটলেই মার্কিন ভিসা নিশ্চিত।” কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ নেই। রিপোর্টে প্রকাশিত সূত্র বলছে, ভক্তদের জন্য ভিসায় কোনো অগ্রাধিকার বা নিশ্চয়তা নেই। 

বিশ্বজুড়ে ভক্তদের উৎসাহে ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়ে ভিসা আবেদনে সুবিধা মিলবে- এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তা বাস্তবসঙ্গত নয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সরকারি বিবৃতিতেও এর কোনো ভিত্তি নেই। 

অ্যাথলেট, কোচ ও ইভেন্ট স্টাফদের জন্য সরকারিভাবে কিছু সীমিত ছাড়ের কথা বলা হলেও, তা শুধু “ইভেন্ট সংশ্লিষ্ট” ব্যক্তি বা ভক্তদের জন্য নয়। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু দেশ (যেমন ইরান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া) থেকে আগতদের জন্য সাধারণ ভিসায় কঠোরতা অব্যাহত। 

অর্থাৎ, শুধু টিকিটের ভিত্তিতে ভিসার আবেদন করলে তা পৃথকভাবে বিবেচিত হবে না। 

ভিসা প্রক্রিয়ার বিলম্ব

- যুক্তরাষ্ট্রে বেশির ভাগ দূতাবাসে ভিসা ইন্টারভিউয়ের অপেক্ষা ৩০০-৬৭০ দিন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

- এ কারণে অনেক ভক্ত আংশিক হলেও ভ্রমণ পরিকল্পনায় আশঙ্কায় রয়েছেন।

ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ২৪ ঘণ্টা কনজুলার সেবা, এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ও অনলাইনে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর কথা উঠেছে। তবে, এগুলো এখনো প্রতিটি আবেদনকারীর জন্য স্বয়ংক্রিয় কার্যকর নয়।

“টিকিট= ভিসা?” সমীকরণ ভুল বোঝাবুঝি। যারা বিশ্বকাপ দেখতে চান, তারা জরুরি ভিত্তিতে আগে থেকেই ভিসা আবেদন করতে পারেন। ভিসা, টিকিট দুটিই নিজস্ব নিয়মে আলাদাভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শিগগির আবেদন করুন, অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হতে পারে। টিকিট ও ভিসা পৃথক প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনায় রাখুন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফিফা বা আয়োজক কর্তৃপক্ষের দলিল সংগ্রহ করুন, যতটা সম্ভব ভিসা সাক্ষাৎকারে প্রয়োগের জন্য।

মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট