যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠাবে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১০:৩০

যুক্তরাষ্ট্র ও রুয়ান্ডার মধ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে পারে। এই পরিকল্পনা নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এটি অভিবাসীদের আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর নীতি গ্রহণ করেছে। এই নীতির আওতায় রুয়ান্ডার সঙ্গে আলোচনা চলছে, যদিও বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তারা এমন দেশ খুঁজছে, যারা দূরবর্তী এবং অপরাধীদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলিভিয়ার এনডুহুনগিরেহে নিশ্চিত করেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভিবাসী গ্রহণের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা করছেন। রুয়ান্ডা বলেছে, বন্দিশিবিরের পরিবর্তে তারা পুনর্বাসন ও সমাজে একীভূতকরণের ওপর জোর দেবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, এই ধরনের চুক্তি অভিবাসীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি তাদের এমন দেশে পাঠানো হয়, যেখান থেকে তারা পালিয়ে এসেছে। এছাড়া রুয়ান্ডার মানবাধিকার রেকর্ড নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইরাকি নাগরিক ওমর আবদুলসাত্তার আমিনকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়েছে। এই ঘটনা ভবিষ্যতের চুক্তির মডেল হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও রুয়ান্ডার মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, এটি অভিবাসন নীতিতে একটি নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা এবং অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রশ্নে এটি বিতর্কিত হয়ে উঠতে পারে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা