প্রবাসীরা আগামী ২ বছর কানাডায় বাড়ি কিনতে পারবেন না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:২০

কানাডায় প্রবাসীদের বাড়ি ক্রয়ের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। দেশটির নাগরিকদের জন্য আবাসন সংকট সমাধানে এবং বাড়ির আকাশছোঁয়া দাম কমানোর জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে কানাডায় বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। সর্বশেষ পদক্ষেপে সেই নিষেধাজ্ঞাই আরো দুই বছরের জন্য বাড়ানো হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডিয়ান আবাসনে বিদেশি মালিকানার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো দুই বছরের জন্য বর্ধিতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটি বলেছে, দেশজুড়ে নগর ও শহরে হাউজিং মার্কেটে আকাশছোঁয়া দামের বিষয়ে কানাডিয়ানদের উদ্বেগ দূর করার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, তীব্র চাহিদার কারণে আবাসন ক্রয়ক্ষমতার সংকটের মুখোমুখি হয়েছে কানাডা। আর এর জন্য অভিবাসী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। মূলত ক্রমবর্ধমান খরচ যেমন বাড়ি নির্মাণকে ধীর করে দিয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে বাড়ির চাহিদাও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কানাডিয়ানদের জন্য আবাসন আরো সাশ্রয়ী করতে কানাডিয়ান আবাসনে বিদেশি মালিকানার ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা, যা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। কিন্তু তা আগামী ২০২৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হবে।’
কানাডিয়ান সরকার বলেছে, দেশজুড়ে বিভিন্ন নগর ও শহরে হাউজিং মার্কেটে আকাশছোঁয়া দামের পাশাপাশি বিদেশি মালিকানার বিষয়টি কানাডিয়ানদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে গত মাসে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীর আগমন এবং তার জেরে দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হতে থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপের কথা জানায় কানাডা। এছাড়া স্নাতক শেষ করার পর কিছু শিক্ষার্থীকে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ করবে কানাডা। কারণ আবাসন সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলছে এমন রেকর্ড সংখ্যক নবাগতদের লাগাম টানতে চায় দেশটি।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে সে সময় জানা যায়, ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রবেশ অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২৩ সালে যত সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, শতকরা হিসাবে এই সংখ্যা তার চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম।
তথ্যসূত্র: ঢাকা প্রকাশ