Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

কীভাবে বিদেশে বসে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন করবেন?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৫

কীভাবে বিদেশে বসে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন করবেন?

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ সামনে রেখে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে না ফিরেও ভোটার হিসেবে নিবন্ধন ও ভোট প্রদান করতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে ‘Postal Vote BD’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে, যা অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যাচ্ছে ।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পোস্টাল ভোটে অংশ নিতে প্রথম ধাপ হলো মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করা। অ্যাপ চালু করার পর নতুন ব্যবহারকারীদের ‘নতুন ইউজার হলে রেজিস্ট্রেশন করুন’ অপশনটি বেছে নিতে হবে। এরপর মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন শুরু করলে সংশ্লিষ্ট নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) পাঠানো হবে। ওটিপি যাচাই সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী নিজস্ব অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন ।

নিবন্ধনের সময় ভোটারকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলতে হবে এবং পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি অ্যাপে ‘সজীবতা পরীক্ষা’ বা Liveliness Check-এর মাধ্যমে সেলফি তুলে পরিচয় যাচাই করা হবে, যাতে ভুয়া নিবন্ধনের সুযোগ না থাকে। নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, এই যাচাইকরণ পদ্ধতি ভোটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্ত করা হয়েছে ।

নিবন্ধন ও যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদন পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালটের অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট প্যাকেজ পাঠানো হয়। এই প্যাকেজে ব্যালট পেপার, ব্যালট খাম, ফেরত খাম এবং প্রয়োজনীয় ঘোষণাপত্র থাকে। প্রতিটি খামে একটি কিউআর কোড সংযুক্ত থাকে, যা ভোটদানের সময় ব্যবহৃত হবে ।

ভোট প্রদানের ধাপেও মোবাইল অ্যাপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারকে প্রথমে অ্যাপে লগইন করে নিজের খামের ওপর থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। এরপর আবার একটি সজীবতা পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত প্রতীক বরাদ্দের তারিখের পর অ্যাপে ভোটদানের অপশন সক্রিয় হবে। তখন অ্যাপে দেখা প্রার্থী ও প্রতীকের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যালট পেপারে নির্ধারিত স্থানে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিতে হবে ।

ভোট প্রদান শেষে ব্যালট পেপার নির্ধারিত খামে ভরে সিল করতে হবে এবং ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর পুরো প্যাকেটটি নিকটবর্তী পোস্ট অফিস বা নির্ধারিত ড্রপ বক্সে জমা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ব্যালট গণনার আগ পর্যন্ত খোলা যাবে না এবং শুধুমাত্র কমিশনের তত্ত্বাবধানে গণনা করা হবে ।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সহায়তার জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং নির্ধারিত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

Logo