কুয়েতে প্রবাসীদের ভিসা ও আবাসন সংক্রান্ত কাজে জড়িত এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রতিটি প্রবাসীর কাছ থেকে ৫০০ কুয়েতি দিনার ঘুষ আদায় করতেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা প্রবাসীদের আবাসন ও ভিসা সংক্রান্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একটি চক্র গড়ে তুলে বিদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রতিটি প্রবাসীর কাছ থেকে ৫০০ কুয়েতি দিনার আদায়ের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
কুয়েতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত মামলা চলছে। প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে এবং কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে যেসব প্রবাসী এই অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে অবস্থান করছিলেন, তাদেরও দেশছাড়া (ডিপোর্টেশন) করা হবে।
কুয়েত সরকার এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতির মাধ্যমে ভিসা বা আবাসন পাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, এ ধরনের অপরাধ ভবিষ্যতে রোধ করতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হবে।
ঘটনার পর প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, দুর্নীতির কারণে তারা হয়তো চাকরি হারাতে পারেন বা দেশছাড়া হতে পারেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, প্রবাসীদের যেন অযথা হয়রানি না করা হয় এবং প্রকৃত অপরাধীদেরই শাস্তি দেওয়া হয়।
কুয়েতে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভিসা বাণিজ্য ও অবৈধ আবাসন সংক্রান্ত অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এই কেলেঙ্কারি আবারো প্রমাণ করল, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি।
logo-1-1740906910.png)