
পর্তুগালের পাসপোর্ট ২০২৫ সালে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স অনুযায়ী, পর্তুগিজ পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ভিসা ছাড়াই অথবা ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধায় ভ্রমণ করতে পারেন।
এই মর্যাদা পর্তুগালের নাগরিকদের জন্য যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি অভিবাসীদের জন্য এটি একটি দ্বৈত বাস্তবতা তুলে ধরে। একদিকে, পর্তুগালের পাসপোর্ট বৈশ্বিক গতিশীলতার প্রতীক, অন্যদিকে অভিবাসন নীতির কঠোরতা অনেক অভিবাসীর জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার পথকে দীর্ঘ ও জটিল করে তুলেছে।
বর্তমানে পর্তুগালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে ১০ বছর বৈধ হিসেবে বসবাস করতে হয়, যা আগে ছিল ৫ বছর। এছাড়া পরিবার পুনর্মিলনের জন্য কমপক্ষে দুই বছর রেসিডেন্সি থাকতে হয় এবং আবেদন প্রক্রিয়া ৯ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
অভিবাসী সম্প্রদায়ের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, AIMA (Agency for Integration, Migration and Asylum) সময়মতো সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার ফলে অনেকের রেসিডেন্সি কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি অভিবাসীদের মধ্যে “অবাঞ্ছিত” হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করেছে।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুজা সম্প্রতি অভিবাসনসংক্রান্ত পরিসংখ্যানের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সতর্ক করেছেন, অভিবাসন বন্ধ করা মানে হবে পর্তুগালের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা।
এই বাস্তবতায় পর্তুগালের পাসপোর্ট শক্তিশালী হলেও অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্বের পথ এখনো কণ্টকাকীর্ণ। মানবিকতা, অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে অভিবাসন নীতির পুনর্বিবেচনা না হলে, এই বৈশ্বিক মর্যাদা অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের ছায়ায় ঢাকা পড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য পর্তুগাল নিউজ